কিশোর আদালত কি

প্যারোল কি

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠকগণ, আশা করছি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে কিশোর আদালত কি এ বিষয়ে নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা কিশোর আদালত কি এ বিষয় সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক। তাহলে তারা অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

তাহলে আপনারা কিশোর আদালত কি এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পারবেন। কিশোর আদালত নিয়ে সকল ধরনের তথ্য আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই আপনারা ধৈর্য সহকারে পুরো আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। তাহলে অবশ্যই কিশোর আদালত কি এ বিষয় সম্পর্কে আপনারা পরিষ্কারভাবে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক।

কিশোর রায় একটি জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। তাদের হাত ধরেই জাতির ছিনিয়ে আনবে ভবিষ্যৎ স্বপ্নের সোনালী ঠিকানা। কিন্তু তারা যদি অপরাধ প্রবণ হয়ে অংকুর এই তাদের জীবনকে ধ্বংস করে দেয় তাহলে একটি জাতির অগ্রগতি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।

আর তাই এ কিশোর অপরাধীদের সংশোধনের মাধ্যমে সমাজে পুনর্বাসিত করতে বিভিন্ন ধাঁচের আদালত ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে। কিশোর অপরাধের বিচারের জন্য প্রতিষ্ঠিত এ আদালতের নামই কিশোর আদালত। সমাজ থেকে কিশোর অপরাধ নির্মূল করতে এ কিশোর আদালতের গুরুত্ব অপরিসীম।

কিসের অপরাধীদের বিচারকার্য পরিচালনা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত আদালতই কিশোর আদালত। কিশোর আদালতের উদ্দেশ্য হলো কিশোর অপরাধের উদঘাটন এবং কতিপয় প্রতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে কিশোর অপরাধী এর চারিত্রিক সংশোধনের ব্যবস্থা করা।

সুতরাং কিশোর আদালত কিশোর অপরাধীদের সার্বিক কল্যাণের জন্য প্রতিষ্ঠিত আরেকটা ঘরোয়া প্রকৃতির আদালত ব্যবস্থা। কিসের আদালত তার নিজস্ব ব্যবস্থাই অপরাধীর অপরাধ এবং তার কারণ উদঘাটন করে এবং অপরাধীকে পুনর্বাসিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।

কিশোর আদালতের অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে তার আর্থসামাজিক পরিবেশ তথা তার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে পর্যাপ্ত অনুসন্ধান চালিয়ে তার ওপর প্রতিবেদন বা রিপোর্ট গ্রহণ করা হয়। আদালত কর্তৃক নিযুক্ত প্রবেশন অফিসার এ কাজটি পরিচালনা করে থাকেন।

কিশোর আদালত প্রবেশন অফিসারের প্রতিবেদন মোতাবেক অত্যন্ত ঘরোয়া পরিবেশে কেবল মাত্র প্রয়োজনীয় সাক্ষী অপরাধীর অভিভাবক শিক্ষক কিংবা ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন এবং স্থানীয় সমাজ কল্যাণমূলক কোনো কর্মকর্তার সরাসরি উপস্থিতিতে অপরাধের শুনানি গ্রহণ করে এবং তাকে তার ভুল বোঝার সুযোগ প্রদান করে কিংবা ক্ষেত্র বিশেষে কোন অপরাধ সংশোধন মূলক প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করে।

উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, কিশোর আদালতের প্রধান লক্ষ্যই কিশোর অপরাধীদের সামাজিকভাবে সমাজে পুনর বাসিত করা। কিসের আদালত অপরাধীকে তার অপরাধের জন্য কোন শাস্তি প্রদান করে না। তবে কিসের আদালত তাকে কিশোর অপরাধী অবহেলিত কিশোর পরনির্ভর কিংবা স্পর্শকাতর কিশোর ইত্যাদি হিসেবে চিহ্নিত করে এবং তার মঙ্গলের জন্য তথা চারিত্রিক উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।

কিশোর আদালত কি এই বিষয় সম্পর্কে আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা পরিপূর্ণ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে এবং সুন্দরভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এবং পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। তাহলে সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এবং সর্বদা আমাদের পাশেই থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।