ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম

ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম। বর্তমান সময়ে প্রায় সকল ব্লগারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে ব্লগিং করে মানুষ ঘরে বসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারছে শুধুমাত্র আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে। আর্টিকেল লেখার পরেও নিজের ওয়েবসাইট দাঁড় করানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারছে। আপনি যদি একজন ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানতে হবে। 
ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম
আজকের এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে। যদি আপনি ব্লগার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখতে চান তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল শুধুমাত্র আপনাদের জন্য। আপনারা যদি ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদের আর্টিকেল লিখতে হবে। 

পোস্ট সূচিপত্রঃ ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম

আর্টিকেল কি? জেনে নিন

আপনারা যদি ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে চান বা ব্লগারে আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চান। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদেরকে সর্বপ্রথম যেটি জানতে হবে সেটি হল আর্টিকেল কি এবং আর্টিকেল কাকে বলে। তাহলে চলুন আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করব যে আর্টিকেল কি। 
আসলে একটি ওয়েবসাইটের মধ্যে অর্থাৎ ব্লগার ড্যাশবোর্ড এর মধ্যে আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের টপিক অনুযায়ী লেখালেখির কাজ করে থাকি সাধারণত সেই সকল লেখা লেখির বিষয়কে আর্টিকেল বলা হয়। অর্থাৎ আপনি যখন একটি ওয়েবসাইটের আর্টিকেল লিখতে চাইবেন তখন অবশ্যই যে কোন একটি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির আর্টিকেল লিখতে হবে। এই বিষয়কেই আর্টিকেল বলা হয়।

ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কীয় বিষয়সমূহ

এতক্ষণে আপনারা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে আর্টিকেল কি। এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক আর্টিকেল লেখার বিষয় সম্পর্কে কিছু তথ্য। আসলে একটি ব্লগিং ওয়েবসাইটে যখন আপনি যেকোন আর্টিকেল লিখতে চাইবেন সর্বপ্রথম আপনাকে একটি আর্টিকেলের ক্যাটাগরির নির্ধারণ করতে হবে। ক্যাটাগরি নির্ধারণ বলতে আপনি যে ধরনের পোস্ট লিখবেন সে ধরনের পোস্ট ক্যাটাগরির প্রয়োজন হবে। 

আপনাকে এমন ভাবে আর্টিকেল লিখতে হবে যাতে অন্য কেউ এর আগে সেই আর্টিকেল প্রকাশ করেনি এমন ধরনের আর্টিকেল লিখতে হবে আপনাকে। অর্থাৎ কোন ভিজিটর যদি গুগলের মধ্যে সার্চ করে আপনার সে আর্টিকেল পড়তে চাই কেমন ভাবে একটি আর্টিকেল আপনাকে লিখতে হবে। আপনাকে এমন আর্টিকেল লিখতে হবে। 

যে আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে মানুষ যাতে করে সেই আর্টিকেল থেকে উপকৃত হয়। এবং বর্তমান সময়ে গুগলের মধ্যে মানুষ কোন বিষয়ে সবচেয়ে বেশি সার্চ করে সেই বিষয়ের উপর আপনাকে আর্টিকেল লিখতে হবে। তবে আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে সর্বনিম্ন 600 শব্দের আর্টিকেল লিখতে হবে। আর যদি আপনি পারেন তাহলে তার চেয়ে বেশি ওয়ার্ডের আর্টিকেল লিখতে পারেন। 

ব্লগার ব্লগে কিভাবে আর্টিকেল লিখতে হয় সেটা জেনে নিন

আপনারা যখন ব্লগার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখবেন তখন অবশ্যই আপনাদেরকে খেয়াল রাখতে হবে যে আর্টিকেল আপনারা লিখবেন সেটি যেন এসইও ফ্রেন্ডলি হয়। কেননা এসব ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখলে আপনার সেই আর্টিকেল গুগোল সার্চ পেজে ফাস্টে দেখানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে। এবং যে কেউ সার্চ করলে আপনার আর্টিকেল পেয়ে যাবে। 
যখন আপনারা একটি ব্লগের ডেশবোর্ডে প্রবেশ করবেন তখন আর্টিকেল লেখার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে পোষ্টের মধ্যে প্রবেশ করতে হবে। সেখানে আপনারা একটি ড্যাশবোর্ড দেখতে পাবেন। সেখান থেকে আপনাদেরকে আর্টিকেল লিখতে হবে। সেখানে অনেক ধরনের ক্যাটাগরি থাকবে কিভাবে পোস্ট লিখবেন কিভাবে ডিলেট করবেন কিভাবে এডিট করবেন এসকল বিষয় সম্পর্কে। 

তাহলে চলুন জেনে নিন যে ব্লগারদের বোর্ডের মধ্যে কি ধরনের ড্যাশবোর্ড থাকবে আপনাদের জন্য। নিচে ড্যাশবোর্ড এর একটি ফটো দেওয়া হল সেখান থেকে আপনারা দেখে নিন। 

আপনারা যখন ব্লগে আর্টিকেল লিখতে চাইবেন তখন অবশ্যই এই সকল বিষয় এর উপর আপনাকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। কেননা এই সকল বিষয়ের ওপর যদি আপনি ভালো মতন চর্চা করতে না পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি আর্টিকেল লেখার বিষয়ের উপর পিছিয়ে যাবেন। সেজন্য অবশ্যই আপনাকে এসকল বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে ভালোভাবে। 
  • সর্বপ্রথম আপনাকে জানতে হবে যে আর্টিকেল এর টাইটেল কি দিবেন। আপনি কি বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখবেন সেই টাইটেল আপনাকে দিতে হবে। 
  • যেমনটা ওপরের ফটোতে দেওয়া আছে। ঠিক এভাবেই আপনাকে একটি আর্টিকেল এর টাইটেল নির্ধারণ করে নিতে হবে। 
  • তারপর অবশ্যই আপনাকে এইচটিএমএল কম্পোজিং ভিডিও এই বিষয়টার উপর খেয়াল রাখতে হবে। আপনি যদি এইচটিএমএল জাভাস্ক্রিপ্ট সম্পর্কে ধারনা থাকে তাহলে আপনি কখনোই এইচটিএমএল এর মধ্যে প্রবেশ করবেন না। 
  • আর যদি আপনি জেনে থাকেন আর্টিকেলের কিছু বিষয় পরিবর্তন সম্পর্কে তাহলে অবশ্যই এইচ টি এম এল এর মধ্যে কি আপনাকে সকল কাজ করতে হবে। 
  • এককথায় আপনি যে পোস্ট লিখেছেন সেই পোষ্টের কোডিং সম্পর্কে সেখানে পেয়ে যাবেন সকল কিছু তথ্য। 
  • অবশ্যই আপনি যখন একটি আর্টিকেল লিখবেন তখন আর্টিকেলের এইচটিএমএল এর মধ্যে গিয়ে আপনাকে অনেক কিছু পরিবর্তন করতে হবে। তার জন্য অবশ্যই কোডিং সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে আপনার। 

ব্লগে আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিছু অপশন সম্পর্কে জানতে হবে

উপরের ছবিতে দেখানো হয়েছে সেই সকল অপশন সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আর্টিকেল লেখার পূর্বে। যে কোন অপশন দিয়ে কি কাজ করতে হয় সেটা আপনাকে খুব ভালোভাবে জানতে হবে। যদি এই সকল বিষয়ে আপনি জানতে পারেন তাহলে ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন। 
  • সর্ব প্রথমে যেটা রয়েছে সেটি হল undo and redo এটির কাজ হলো আপনি যখন একটি বিষয় লিখবেন তারপর সেটা কেটে দেবেন। যথেষ্ট পরিমাণ তখন যদি মনে হয় আপনার যে সে লাইনটা সঠিক ছিল তাহলে এই দুটি জিনিস দিয়ে আপনি খুব সহজেই সেই লেখা আবার ফিরিয়ে আনতে পারবেন। আবার পিছনে নিয়ে যেতে পারবেন। 
  • ফন্ট টাইপ এটি হলো আপনি যখন ব্লগে একটি আর্টিকেল লিখবেন তখন আপনি সেখানে কি ধরনের ফন্ট ব্যবহার করবেন। সেটি হলো এটির কাজ। আপনি খুব সহজেই এটি ব্যবহার করতে পারবেন এবং আপনার ওয়েবসাইটের যেমন ধরনের লেখা প্রয়োজন ঠিক তেমন লেখা করে নিতে পারবেন এখান থেকে। 
  • ফন্ট সাইজ এটি হলো আপনি যখন একটি আর্টিকেল লিখেন তখন আপনার আর্টিকেল এর মধ্যে কেমন ধরনের ওয়ার্ড সাইজ ব্যবহার করবেন সেটা এখান থেকে পরিবর্তন করে ব্যবহার করতে হবে আপনাকে। অর্থাৎ আপনি যেমন ধরনের লেখা চাইবেন এখান থেকে সাইজ অনুযায়ী বড় করে কিংবা ছোট করে লিখতে পারবেন।
  • বোল্ড এটার কাজ হলো আপনি যখন কোনো একটি লেখা মোটা করতে চাইবেন তখন এই অপশনটি ব্যবহার করতে হবে আপনাকে। কেননা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকমের লেখা মোটা করার প্রয়োজন হয়। ঠিক সেই সময় সেই লেখাটুকু সিলেট করা অবস্থায় যদি এই অপশনের উপর ক্লিক করেন তাহলে সেই লেখা মোটা হয়ে যাবে। 
  • ইতালিক এটির কাজ হল যখন আপনি কোন একটি লেখাকে সিলেট করা অবস্থায় এটার উপর ক্লিক করবেন তখন এই লেখা নির্দিষ্ট এক দিকে বাঁকা হয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনি যদি কোন কিছু উদ্দেশ্য করে এটা করতে চান তাহলে এটা ভাজ হয়ে যাবে একদিকে। 
  • আন্ডারলাইন এটির কাজ হল মূলত আপনি যদি কোন বিষয় এর ওপর কাউকে নজর দিতে চান তাহলে অবশ্যই লেখা টি সিলেক্ট করা অবস্থায় এটি ওপর ক্লিক করলে সেটা নিজে একটি দাগ পড়ে যাবে। তাহলে সেই বিষয়টার উপর অন্য মানুষের নজর পড়ে যাবে। তাকেই সাধারণত আন্ডারলাইন বলা হয়। যেমন ধরুন এটা। 
  • টেক্সট কালার মনে করুন আপনি একটি আর্টিকেল লিখেছেন সেখানে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকমের কালার প্রয়োজন হবে। এই জায়গাতে আপনি কালার করতে চান সেই জায়গাতে অবশ্যই প্লেট করা অবস্থায় আপনাকে কালার সিলেক্ট করে দিতে হবে তাহলে সেখানে কাটার চলে আসবে। 
এগুলো অবসানের পরে আপনারা আরো অনেক অপশন পেয়ে যাবেন যেগুলো আপনার খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। মনে করুন লিংক এড করা ভিডিও এড করা ফটো অ্যাড করা ইমোজি আর্ট করা তারপর লেখা ডানদিকে থেকে বাঁদিকে নিয়ে যাওয়া বা দিক থেকে ডান দিকে নিয়ে যাওয়া মিডিলে নিয়ে যাওয়া এ সকল কাজ আপনি করতে পারবেন এর পরবর্তী অপশন গুলোর মধ্যে। 
তারপর আপনি হাতের ডান পাশে পেয়ে যাবেন লেভেল অ্যাড করা সেখানে আপনারা অনেক অপশন পেয়ে যাবেন যেগুলো আর্টিকেল লেখার সময় আপনার প্রয়োজন হবে না। শুধুমাত্র প্রয়োজন হবে লেভেল এড করার জন্য। আপনার যদি নতুন আর্টিকেল লেখার জন্য ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরী করে থাকেন তাহলে অবশ্য শুরুতে level-অ্যাড করা জানতে হবে আপনাদেরকে। 

তারপর আপনারা যখন ধীরে ধীরে কাজ করা শুরু করবেন তখন সেই সকল বিষয়গুলো আপনাদের আপনি আয়ত্তে চলে আসবে। তখন আপনারা যে কোন বিষয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যে লিখতে পারবেন। আপনারা যখন নতুন অবস্থায় ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করবেন সেখানে আর্টিকেল লেখার জন্য এসকল বিষয় আপনাদের কে জানতে হবে অবশ্যই। 

আমাদের শেষ কথা, 

ব্লগ আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে আশা করছি আপনারা এসকল বিষয় খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। উপরে যে সকল বিষয় সম্পর্কে বলা হয়েছে এই সকল বিষয় সম্পর্কে আপনাদেরকে জানতে হবে তারপরে আপনারা খুব সহজেই আর্টিকেল লিখতে পারবেন। এসকল বিষয় না জানলে আপনার অনেক ক্ষেত্রে ভুল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

আর ভুলে গেলে সেগুলো আবার সংশোধন করার জন্য এই সকল বিষয় জানা খুবই প্রয়োজন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার পরিচিত জনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন সকলে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url