রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে | রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক গন, আশা করছি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আপনাদের মধ্যে যারা রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে এই বিষয় সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে এ বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে
পেজ সূচিপত্রঃরাষ্ট্রবিজ্ঞান কি | রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে | রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও 

ভূমিকাঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে 

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ইংরেজি প্রতিশব্দ 'Political science'. এটি গ্রিক শব্দ 'Polis' এবং 'Logos' থেকে এসেছে। Polis অর্থ নগর (City) বা নগর রাষ্ট্র (City state) এবং 'Logos' অর্থ জ্ঞান বা বিজ্ঞান। সুতরাং উৎপত্তিগত অর্থে রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল নগর রাষ্ট্র সম্পর্কিত বিজ্ঞান। প্রাচীন গ্রীস ও রোমে নগর রাষ্ট্র গড়ে উঠেছিল। বর্তমানে রাষ্ট্রগুলোর আকার অনেক বেড়ে গেছে।
তাই রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞার ও পরিবর্তন ঘটেছে। বর্তমানে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বলতে এমন একটি সামাজিক বিজ্ঞানকে বুঝায় যা মূলত রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের কাঠামো, সরকার, সার্বভৌমত্ব, নাগরিকত্ব, নাগরিক অধিকার ও কর্তব্য, সংবিধান, শাসকের ক্ষমতা ও শাসিতের অধিকার নিয়ে আলোচনা করে। রাজনৈতিক ঘটনাবলী এবং তার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বলি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে 

রাষ্ট্রবিজ্ঞান মূলত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিশ্লেষণ সম্পর্কিত একটি সামাজিক বিজ্ঞান। রাষ্ট্রের উপাদান, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কাঠামো, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক সংগঠন, রাজনৈতিক ব্যবস্থা ইত্যাদি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কিত সংজ্ঞা নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো। এগুলো থেকে আপনারা ভালোভাবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সকল বিষয় পরিষ্কার এবং সুন্দরভাবে বুঝতে পারবেন। তাহলে চলুন রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা জেনে নেওয়া যাক।

প্রামাণ্য সংজ্ঞাঃ রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে

বিভিন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বিভিন্নভাবে রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে সংজ্ঞায়িত করেছেন। নিচে তাদের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সংখ্যা উপস্থাপন করা হলোঃ- 

ফরাসি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী পল জ্যানেট বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমাজবিজ্ঞানের সে অংশ যা রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি ও সরকারের নীতিমালা বিশ্লেষণ করে।
W. W. Willoughby বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান হলো সে বিজ্ঞান যার লক্ষ্য হলো রাজনৈতিক ঘটনাসমূহের চিহ্নিতকরণ এবং তাদের মধ্যে বিদ্যমান যুক্তিবাদী ও কার্যকারণ সম্পর্কের ভিত্তিতে ওইসব ঘটনার সুসম্মানিত বিন্যাস সাধন।

জি. ক্যাটলিন বলেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমাজে মানুষের রাজনৈতিক কার্যক্রমের ব্যাখ্যা দান করে এবং মানুষের বিভিন্ন মুখী সামাজিক ভূমিকা পালন করে।

Prof. Leacock বলেন, "Political science deals with the goverment."

জার্মান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বস্নান্টলি এর মতে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এমন একশাস্ত্র যা রাষ্ট্রের মূল অবস্থা, উৎপত্তি, লক্ষ্য, বিকাশ, পরিবর্তন ও গতি প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করে।

উপসংহারঃ  

উপরের আলোচনা থেকে বলা যায় যে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান হল সমাজবিজ্ঞানের প্রধান একটি শাখা। যেখানে রাষ্ট্র, সরকার এবং মানুষের রাজনৈতিক জীবনের সাথে সম্পর্কিত সকল প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, শাসন প্রণালী, ঘটনা ও আনুষ্ঠানিক এবং আনুষ্ঠানিক সকল বিষয়ের বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা করা হয়। রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য নীতি এবং সকল বিষয়ের প্রতি জ্ঞান আহরণ করে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের কাজ সম্পন্ন করার জন্য।

আমাদের শেষ কথা,

রাষ্ট্রবিজ্ঞান কাকে বলে এই বিষয় সম্পর্কে আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা পরিপূর্ণ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে এবং ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এবং পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এবং আপনাদের মূল্যবান মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url