সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য - সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য কি কি

প্রিয় পাঠকগণ, আশা করছি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য এবং সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য কি কি এই বিষয় নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। সমাজের সকল বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করার যে প্রচেষ্টা সেটাই হলো সামাজিক গবেষণা।
সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য - সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য কি কি
আপনাদের মধ্যে যারা সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে অবশ্যই জানতে পারবেন সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য এবং সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য কি কি এই বিষয় সম্পর্কে। তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য জেনে নেয়া যাক।

পেজ সূচিপত্রঃপ্রশ্নঃসামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য - সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য কি কি - সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য গুলো লিখ - সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য সমূহ তুলে ধর। 

ভূমিকাঃ সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য 

সামাজিক গবেষণা হলো সামাজিক জীব সম্বন্ধে অনুসন্ধান, বিশ্লেষণ এবং ধারণা ও তত্ত্ব গঠন করার একটি সুশৃঙ্খল পদ্ধতি যার উদ্দেশ্য হল জ্ঞান ভাণ্ডারের সমৃদ্ধি সাধন, সংশোধন ও সত্য প্রতিষ্ঠা। সামাজিক গবেষণার সংজ্ঞাগুলো বিশ্লেষণ করলে এর বৈশিষ্ট্য গুলো বেরিয়ে আসে বা ধরা দেয়। সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হলোঃ- 
আরো পড়ুনঃ সমষ্টি সংগঠন কি

সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্যঃ 

নিচে সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য গুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলোঃ- 

১। সুশৃংখল তথ্য অনুসন্ধান পদ্ধতিঃ সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে গবেষণার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত গবেষকগণকে কতগুলো নির্দিষ্ট পর্যায়ে অতিক্রম করতে হয়। গবেষণার জন্য সমস্যা চিহ্নিতকরণ থেকে গবেষণার ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করতে হয় সকলকে। ফলে এটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হিসেবে সকলের কাছে বিবেচিত।

২। গবেষণা বস্তুনিষ্ঠ ও যুক্তিপূর্ণঃ গবেষক প্রতিটি পর্যায়েই সব সময় নানা ভাবে সংগৃহীত তথ্যর ও তথ্য পদ্ধতির সঠিকতা ও নির্ভরযোগ্যতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। তিনি সবসময় অনুমানকে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন এবং প্রাপ্ত ফলাফল সত্য বা মিথ্যা গ্রহণের মন-মানসিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করেন।

৩। বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক তথ্য সংগ্রহ করাঃ সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণায় তথ্য সংগ্রহের বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এসব পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য উপযুক্ততা ও যথার্থতা অনুযায়ী বিভিন্ন গবেষণায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৪। সময় সাপেক্ষঃ সামাজিক গবেষণা অনেকটা সময় সাপেক্ষ। গবেষণার পরিকল্পনা ও নকশা প্রণয়ন তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ ইত্যাদি অনেকটা সময় সাপেক্ষ।

৫। প্রতিবেদনঃ সামাজিক গবেষণা পরিচালনার পর তা প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হয়। সামাজিক গবেষণার প্রতিবেদন গবেষণার প্রতিটি বিষয়ে যত্ন সহকারে লিপিবদ্ধ করা হয়ে থাকে।

৬। মানবকল্যাণঃ সামাজিক গবেষণার সুপারিশ মোতাবেক অনেক কল্যাণমূলক নীতি পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়। ফলে তা মানব কল্যাণে অবদান রাখতে সক্ষম হয়।

৭। সংখ্যাাতাত্ত্বিকভাবে প্রকাশঃ সামাজিক গবেষণায় সংগৃহীত তথ্যকে সংখ্যাতত্ত্বিকভাবেই প্রকাশ করা হয়। যেমন-বাংলাদেশে দরিদ্রদের সংখ্যা ৪ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ১৪ কোটি বা তারও বেশি ইত্যাদি।

৮। তত্ত্ব গঠনঃ সামাজিক গবেষণা সামাজিক ক্ষেত্রে বিভিন্ন নতুন তথ্য গঠন এবং ভ্রান্ত বা অযৌক্তিক তথ্য অপসারণে সহায়তা করে।

উপসংহারঃ 

পরিশেষে বলা যায় যে, সামাজিক গবেষণা বিভিন্ন সামাজিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য পরিচালিত হয়ে থাকে। যেমন-দরিদ্র বিমোচন পতিতাবৃত্তি নিরসন মাদকাসক্তি সমস্যার সমাধান ইত্যাদি। উপযুক্ত বৈশিষ্ট্য গুলো সামাজিক গবেষণাকে একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য সমাজের সাধারণ মানুষদের জীবনমান উন্নতি করার লক্ষ্য কাজ করে থাকে প্রতিনিয়ত।

আমাদের শেষ কথা,

সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য সামাজিক গবেষণার বৈশিষ্ট্য কি কি এই বিষয় সম্পর্কে আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা পরিপূর্ণ বিষয়ে ভালোভাবে এবং পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এবং পরিচিতদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। তাহলে সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন এবং আপনাদের মূল্যবান মতামত কমেন্টের মাধ্যমে আমাদেরকে জানাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url