এরিকসনের তত্ত্ব

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক গন, আশা করছি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে এরিকসনের তত্ত্ব নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
এরিকসনের তত্ত্ব
আপনারা যারা এরিকসনের তত্ত্ব সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল শুরু থেকে একদম শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন এরিকসনের তত্ত্ব সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

প্রশ্নঃ 

এরিকসনের তত্ত্ব?
এরিকসনের তত্ত্বের পর্যালোচনা লিখ?
এরিকসনের মনোসামাজিক তত্ত্বটি আলোচনা কর?
এরিকসনের তত্ত্বের পর্যালোচনা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা কর?

ভূমিকাঃ

বিখ্যাত মনোবিদ এরিক এইচ এরিকসন নিজের বিচিত্র অভিজ্ঞতার আলোকে ফ্রয়েডের ব্যক্তিত্বের তত্ত্বের ওপর কাজ করতে গিয়ে ১৯৫০ সালে মনোসামাজিক বিকাশের ক্ষেত্রে এক নতুন তত্ত্ব আবিষ্কার করেছেন। এরিকসনের এই  তত্ত্বই মনোসামাজিক তত্ত্ব নামে পরিচিত। আরেকজন তার শিক্ষকতা, মনো সমীক্ষণ নেতাত্ত্বিক অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে গঠিত ধারণার মাধ্যমে ব্যক্তিত্ব বিকাশের ও পরিবর্তনের প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করেছেন।
আরো পড়ুনঃ অবদমন কি

এরিকসন তত্ত্বঃ 

এরেকশন ব্যক্তিত্ব বিকাশের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা তার ক্লায়েন্টদের সাথে অভিজ্ঞতার ফলস্বরূপ। এছাড়া তিনি বিখ্যাত লোকদের যেমন-গান্ধী, শেক্সপিয়র, এদের জীবনী সম্পর্কে জেনেছেন এবং তার মনঃসমীক্ষণের প্রশিক্ষণ কে কাজে লাগিয়েছেন। Hall এবং Lindzay বলেছেন যে, ব্যক্তিত্বের খুব কম মতবাদ ওই পরীক্ষনমূলক উপাত্ত দিয়ে প্রমাণ করা সম্ভব। তার মতবাদের ভিত্তি হচ্ছে সমাজের প্রতি তার ক্লায়েন্টদের প্রতিক্রিয়ার তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ, তার শতলব্ধ জ্ঞান এবং তার যুক্তিপূর্ণ বিশ্লেষণের ক্ষমতা। এরিকসন তত্ত্বের মুখ্য ত্রুটি গুলো হলো-
  1. এরিক এরিকসনের নৈবিত্তিক ব্যাখ্যা অনেকেই মানতে রাজি হয়নি। কারণ পদ্ধতিগতভাবে সব ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ করা হয়নি।
  2. জীবন বিকাশের সংকট অপরিবর্তনীয় নয়।
  3. আরেকশনের বিকাশে সেবার স্তর ক্রমের কথা বলা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে উল্লেখিত স্তর ক্রমের ব্যাতিক্রম পাওয়া যায় যা সর্বজনীন স্তর ক্রম হয়নি।
  4. মানুষের জীবন বিকাশের সব বৈশিষ্ট্যকে এরিক এরিকসনের তত্ত্বের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়।
  5. ব্যক্তির জীবন বিকাশের সংকট পরিবর্তিত হতে পারে।

এরিকসনের মনোসামাজিক বিকাশ তত্ত্বঃ

নিচে বিস্তারিতভাবে এরিকসনের মনোসামাজিক তত্ত্বের ৮ টি তর সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ-
  1. মৌলিক বিশ্বাস বনাম অবিশ্বাস।
  2. স্বনিয়ন্ত্রণ বনাম লজ্জা ও সন্দেহ।
  3. উদ্যোগ বনাম অপরাধবোধ।
  4. শ্রমশীলতা বনাম হীনম্মন্যতা।
  5. আত্মপরিচয় বনাম ভূমিকার দ্বন্দ্ব।
  6. ঘনিষ্ঠ বনাম একাকীত্ব।
  7. সৃজনশীলতা বনাম আবদ্ধতা।
  8. সংহতি বনাম হতাশা।

উপসংহারঃ 

সর্বোপরি আরেক এরিকসন তার মনোসামাজিক বিকাশ স্তরে মানুষের ব্যক্তিত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং তার প্রতিটি স্তর বা পর্যায়ে ব্যাক্তির আচরণ কেমন হবে, তার সাথে কিভাবে আচরণ করলে ভালো বা মন্দ হবে সে সম্পর্কে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। যদিও অনেকে এ মতবাদের সমালোচনা করেছেন তারপরও বলা যায় এরিকসনের তত্ত্বটি আধুনিক মনোবিজ্ঞানে বহুল ব্যবহৃত একটি তত্ত্ব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url