এরিকসনের মনোসামাজিক তত্ত্ব

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠকগণ, আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিতভাবে এরিকসনের মনোসামাজিক তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করব।
এরিকসনের মনোসামাজিক তত্ত্ব
আপনারা যারা এরিকসনের মনোসামাজিক তত্ত্ব নিয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে ইচ্ছুক তাহলে অবশ্যই আজকের আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

প্রশ্নঃ

এরিকসনের মনোসামাজিক তত্ত্ব? 
এরিকসনের মনোসামাজিক তত্ত্বটি আলোচনা কর?
এরিকসনের মনো সামাজিক তত্ত্বের ধাপ গুলো কি কি?
এরিকসনের মনোসামাজিক তত্ত্বের পর্যায় গুলো তুলে ধর?
এরিকসনের মনোসামাজিক তত্ত্বের স্তর গুলো উল্লেখ কর?

 ভূমিকাঃ 

ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে এরিকসনের মনোসামাজিক তত্ত্বটি উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ব্যক্তিত্বের বিকাশকে শৈশব থেকে বায়োপ্রাপ্ত পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে দেখেছেন। তিনি বলেন, ব্যক্তির মানসিক বিকাশ ব্যক্তি যে সামাজিক সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে তার জীবন অতিবাহিত করে তার সাথে সম্পর্কিত।

এরিকসনের মনোসামাজিক তত্ত্বের ধাপঃ 

এরিকসন তার মনোসামাজিক তত্ত্বে বলেছেন, ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব মোট আটটি ধাপে বিকশিত হয়। নিম্নে ইলেকশনের মনসামাজিক তত্ত্বের আটটি ধাপ উল্লেখ করা হলো। 
  1. আস্থা বনাম অনস্থা স্তর।
  2. উদ্যোগ বনাম অপরাধবোধ।
  3. পরিচিতি বনাম পরিস্থিতির বিভাজন।
  4. উৎপাদনশীলতা বনাম আন্তকেন্দ্রিকতা।
  5. আত্মনিয়ন্ত্রণ বনাম সন্দেহ ও লজ্জা।
  6. শ্রম উদ্যোগ বনাম হিনমন্নতা।
  7. একাত্মতা বনাম নিঃসঙ্গতা।
  8. একাকীত্ব করন বনাম হতাশা।
উপরের আলোচনার পরিশেষে বলা যায় যে, এরিকসনের মনোসামাজিক বিকাশের তত্ত্বের আটটি স্তর মানব জীবনের সমগ্র জীবনব্যাপী চলতে থাকে। এর তত্ত্বে অতীতে অভিজ্ঞতা এবং সামাজিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মধ্য শিশুর ভবিষ্যৎ আত্ম পরিচিতি বা ব্যক্তিত্ব কিভাবে বিকসিত হয় সে বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা উপস্থাপিত হয়েছে।

এরিকসনের মনোসামাজিক তত্ত্বের ব্যক্তিত্ব বিকাশের স্তর গুলো কি কি? 

এরিকসন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপর গবেষণা করে যে তথ্য প্রদান করেছেন তা এরিকসনের মনসামাজিক তত্ত্ব হিসেবে পরিচিত। মনোসামাজিক তত্ত্বে এরিকসন বলেছেন, ব্যক্তির জীবনকালে এই আটটি স্তর অতিক্রম করেই সম্পূর্ণ হয় এবং ব্যক্তিত্বের স্বরূপ উন্মোচিত হয়।
আরো পড়ুনঃ অব দমন কি

ব্যক্তিত্ব বিকাশের স্তরঃ 

বিখ্যাত মনোবিদ এরেকশন মানুষের ব্যক্তিত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে যে আটটি স্তরের কথা বলেছেন, নিম্নে সে আটটি স্তর নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলো।
  1. মৌলিক বিশ্বাস বনাম অবিশ্বাস।
  2. নিয়ন্ত্রণ বনাম লজ্জা ও সন্দেহ।
  3. উদ্যোগ বনাম অপরাধবোধ।
  4. শ্রমশীলতা বনাম হীনমন্যতা।
  5. আত্মপরিচয় বনাম ভূমিকার দ্বন্দ্ব।
  6. ঘনিষ্ঠতা বনাম একাকীত্বতা।
  7. সৃজনশীলতা বনাম আবদ্ধতা।
  8. সংহতি বনাম হতাশা।

উপসংহারঃ 

আলোচনা শেষে বলা যায় যে, এরিকসন তার বিকাশ স্তরে মানুষের ব্যক্তিত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং তার প্রতিটি স্তরে বা পর্যায়ে ব্যক্তির আচরণ কেমন হবে, তার সাথে কিভাবে আচরণ করলে ভালো বা মন্দ হবে সে সম্পর্কে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।

আমাদের শেষ কথা,

এরিকসনের মনোসামাজিক তত্ত্ব সম্পর্কে আশা করছি আপনারা আজকের আর্টিকেল থেকে পরিষ্কার এবং পরিপূর্ণ বিষয়ে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এবং পরিচিতজনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। এবং আপনাদের মূল্যবান মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url