অবদমন কি | Abodomon Ki

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক গন, আশা করছি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে অবদমন কি এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
অবদমন কি | Abodomon Ki
আপনারা যারা অবদমন কি এই বিষয় সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন অবদমন কি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

প্রশ্নঃ

অবদমন কি?
অবদমন কাকে বলে?
অবদমন বলতে কি বুঝায়? 

ভূমিকাঃ 

মানব জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য বিষয় হলো ব্যক্তিত্ব। ব্যক্তিত্বকে সমাজ কাঠামো থেকে আলাদা করা যায় না। ব্যক্তি তার সমাজের ব্যক্তিবর্গ, সংস্কৃতি, সামাজিক মূল্যবোধ-এসব উপাদানের সাথে পারস্পারিক সম্পর্কে অবতীর্ণ হয়ে থাকে।

অবদমনঃ 

ব্যক্তিত্ব গঠনের অন্যতম উপাদান হলো আদিসত্যা, যা সুখ নীতির দ্বারা পরিচালিত এবং অন্ধভাবে সব কামনা বাসনা চরিতার্থ করতে চাই। আদিসত্যার অনেক প্রবৃত্তি চরিতার্থ করা সমাজ অনুমোদিত হয় না। এমতাবস্থায় আদি সত্তার অবাঞ্ছিত কামনা বাসনা অবদান ছাড়া উপায় থাকে না। অবদমিত কামনা বাসনা চেতনা থেকে অবচেতনে নির্বাসিত হয়।

অবাঞ্ছিত চিন্তা ভাবনা, অভিজ্ঞতা, কামনা বাসনা এবং ব্যর্থতাকে তুলে থাকার জন্য মনের চেতন স্তর থেকে অবচেতন স্তরে লুকানোর প্রচেষ্টাকে অবদমন বলা হয়। অবদমন কৌশল ব্যবহার ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে পার্থক্য হয়। যারা অবাঞ্ছিত চিন্তা চেতনা ও অভিজ্ঞতা অবচেতন স্তরে ঠেলে দিতে সক্ষম হয়, তাদের মানসিক অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব বেশি হয়।

কারণ অবচেতন স্তর থেকে অবদমিত অবাঞ্ছিত চিন্তা ভাবনা মাঝেমধ্যে মনের চেতন স্তরে এসে দ্বন্দ্ব, হতাশ ও উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। মানুষের অযৌক্তিক আচার-আচরণের বা বিকৃতি আচরণের মাধ্যমে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে। অন্যদিকে, যারা উত্তেজনা কর অবাঞ্ছিত চিন্তা ভাবনার অবদমিত না করে বাস্তব অবস্থার সম্মুখীন হয়, তাদের মানসিক দ্বন্দ্ব স্বাভাবিকভাবে কম হয়।
ফ্রয়েডের মনো সমীক্ষণ তত্ত্বে প্রতিরক্ষণ কৌশল হিসেবে অবদমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে চিহ্নিত। তার মতে, মানুষের নিরজ্ঞান অবচেতন মনের অনেক কিছুই অবদমিত কামনা বাসনা দ্বারা পরিপূর্ণ। মানুষের কোন কামনা বাসনা পরিপূর্ণ না হলে অথবা আদিম সত্তা, অহং সত্যা ও আদি সত্তার মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়।

বেদনাদায়ক উদ্বেগের অনুভূতি মনের নিরজ্ঞান অবচেতন স্তরে প্রেরণে মানুষ সচেষ্ট হয়, যাতে স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত না হয়

উপসংহারঃ 

উপরের আলোচনা শেষে বলা যায় যে, প্রতিরক্ষণ কৌশল হল ব্যর্থতার প্রতি মানুষের অবান্তর প্রতিক্রিয়া। ব্যর্থতার ফলে সৃষ্ট  উদ্বেগ ও উত্তেজনা যেসব প্রক্রিয়ার সাহায্যে দূর করার প্রচেষ্টা চালানো হয়, সেসব প্রক্রিয়াকে বলা হয় প্রতিরক্ষণ ব্যবস্থা। আর প্রতিরক্ষণ কৌশল গুলোর মধ্যে অবদমন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে।

আমাদের শেষ কথা,

অবদমন কি এই বিষয় সম্পর্কে আশা করছি আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা পরিপূর্ণ বিষয়ে ভালোভাবে এবং পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এবং পরিচিতজনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। এবং আপনাদের মূল্যবান মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url