বুদ্ধাংক কি

আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠক গণ, আশা করছি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে বুদ্ধাংক কি এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
ছবি
আপনারা যারা বুদ্ধাঙ্ক সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে অবশ্যই বুদ্ধাংক কি জানতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।

প্রশ্নঃ

বুদ্ধাংক কি? 
বুদ্ধাংক কাকে বলে? 
বুদ্ধাংক বলতে কি বুঝ? 

ভূমিকাঃ 

বুদ্ধি হল ব্যক্তির এমন এক ক্ষমতা যোগ্যতা যা দ্বারা সে জগতের সব বিষয় সম্পর্কে অবহিত হতে পারে। বিভিন্ন ঘটনার সমন্বয় সাধন করতে পারে এবং সমস্যা জনিত ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। অর্থাৎ বুদ্ধি হলো সমস্যার সমাধান বা পরিবেশের সাথে সঙ্গতি বিধানের আচরণ।

আরো পড়ুনঃ বুদ্ধির পরিমাপ

বুদ্ধাংকঃ 

স্টাফড বিনে স্কেল অনুযায়ী বুদ্ধি পরিমাপের প্রথম পদক্ষেপ হলো যার বুদ্ধাংক নির্ণয় করা হবে তার সাথে একটি সহায়াদ্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা। কেননা নতুন পরিবেশে এসে শিশু ভয় পেতে পারে। ফলে তার ফলাফলে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। এরপর অভীক্ষা প্রদান করতে হবে। কিভাবে অভীক্ষা প্রদান করা হয় এবং কিভাবে স্কোর গণনা করা হয় তা নিজে উদাহরণসহ আলোচনা করা হলো।

ধরা যাক, 10 বছর বয়স একটি ছেলের বুদ্ধি আমরা পরিমাপ করতে চাই। প্রথমত, আমাদের এ অভীক্ষায় এমন একটি বয়স স্তর নির্ণয় করতে হবে, যেখানে ছেলেটি সব প্রশ্নগুলোর সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারে। এর সর্বনিম্নতর যেখানে ব্যক্তি সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে তাকে বলা হয় প্রাথমিক বয়স্ক বা ব্যাসিক এজ। সাধারণত প্রচলিত নিয়ম হিসেবে পরীক্ষার্থীর বয়স থেকে দুই বছর নিচের প্রশ্ন দিয়ে আরম্ভ করা।


অর্থাৎ এ বিশেষ ছেলের ক্ষেত্রে আমরা তাকে আট বছরের সবগুলো প্রশ্ন দিব। যদি সে ওই বয়সের সব প্রশ্ন সঠিকভাবে উত্তর দিতে পারে তাহলে তার প্রাথমিক বয়স ধরা হবে আট বছর। যদি সে তা না পারে তাহলে তাকে পরবর্তী শ্রেণী অর্থাৎ সাত বছরের জন্য নির্দিষ্ট প্রশ্ন দেওয়া হবে। এমনই ভাবে সর্বনিম্ন বয়স স্তর খুঁজে বের করতে হবে। ধরা যাক, ছেলেটি ৮ বছরের জন্য সব প্রশ্নগুলো সঠিকভাবে উত্তর দিতে পেরেছে। সুতরাং তার প্রাথমিক বয়স হলো আট বছর। এভাবেই বুদ্ধাংক নির্ণয় করা হয়।

উপসংহারঃ 

পরিশেষে বলা যায় যে, বুদ্ধি হলো ব্যক্তির যোগ্যতা নির্ণায়ক ও মানুষ গুণ। পরিবেশের সাথে সংগতিবিধানে কিংবা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যক্তিতে যে তারতম তা বুদ্ধি গুণটির মাত্রা ভেদের জন্য প্রধানত দায়ী। ব্যক্তির চিন্তন, কল্পনা, ধারণা, শিক্ষণ প্রভৃতি মানস গুণগুলো বুদ্ধির সাথে সম্পর্কযুক্ত।

আমাদের শেষ কথা,

বুদ্ধাংক কি এ বিষয় সম্পর্কে আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা পরিপূর্ণ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার পরিচিতজনদের সঙ্গে এবং বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। এবং আপনাদের মূল্যবান মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করবেন। তাহলে সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url