বুদ্ধির পরিমাপ

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠকগণ, আশা করছি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আজকে আমরা বুদ্ধির পরিমাপ সম্পর্কে এই আর্টিকেলের মধ্যে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
ছবি
আপনারা যারা বুদ্ধির পরিমাণ সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন বুদ্ধির পরিমাপ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

প্রশ্নঃ 

বুদ্ধির পরিমাপ।
বুদ্ধি পরিমাপ করার উপায় লিখ।
বুদ্ধি কিভাবে পরিমাপ করা যায়।
বুদ্ধি কিভাবে পরিমাপ করা যায় তা আলোচনা কর।

ভূমিকাঃ 

মানুষ বুদ্ধিদীপ্ত প্রাণী। তাকে সমাজে বসবাস করার জন্য পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে চলতে হয়। আর এ খাপ খাওয়াতে গিয়ে তাকে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আর এ সমস্যা থেকে উত্তরণে সাহায্য করে বুদ্ধি। মানুষের কৌতূহল আর সমস্যা থেকেই বুদ্ধির বিকাশ। তাছাড়া পৃথিবীতে এত আরাম আয়েশের জন্য যে বিপুল আয়োজন তার পিছনে একমাত্র কারণ বুদ্ধি।

বুদ্ধির পরিমাপঃ 

বুদ্ধির সংজ্ঞার দিকে লক্ষ্য করলে আমরা বুঝতে পারছি না আসলে কে More intelligent অথবা Less intelligent, মনোবিজ্ঞানী এটা Identify করার জন্য কতগুলো পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। তারা মনে করেন, যারা বেশি অথবা কম বুদ্ধিমান তাদের প্রতি Special attention দরকার। তাদেরকে Optimum facilities এর মাধ্যমে সমাজের প্রতিষ্ঠিত করায় মনোবিজ্ঞানীদের লক্ষ্য। তাই তারা বুদ্ধি পরিমাপ করার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।

বুদ্ধিকে বাইরে থেকে এক এক ভাবে বস্তু বা পদার্থের মত পরিমাপ করা যায় না। বুদ্ধি প্রতিফলিত করে এমন কতগুলো আচরণের মাধ্যমে আমরা বুদ্ধি পরিমাপ করে থাকি। সুতরাং আমরা যা পরিমাপ করি তা হলো একজন ব্যক্তির কর্ম সম্পাদন। ব্যক্তির কর্ম সম্পাদন তার অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা সম্পর্কে নির্দেশ করে।


মনোবিজ্ঞানীরা Performance এর ওপর বুদ্ধি পরিমাপ করেন। যে কোন কাজে বয়সের সাথে সাথে দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। তাই একই বয়সের ব্যক্তিকে কোন কাজ করতে দিলে তাদের মধ্যে যে ব্যক্তিটি কম দক্ষতার সাথে কাজটা করবে সে Less intelligent. যারা বেশি তক্ষ তার সাথে কাজটা করবে সে More intelligent, আর যারা নরমাল ইন্টালিজেন্ট তারা স্বাভাবিক দক্ষতার সাথে কাজটা করবে।

বুদ্ধি পরিমাপের ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে, অতীতে দৈহিক আকৃতি দেখে অথবা মস্তিষ্কের গঠন দেখে বুদ্ধি পরিমাপের চেষ্টা করা হতো। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বুদ্ধি পরীক্ষার ভিত্তি স্থাপন করেন sir Fancis galton (যার বুদ্ধাঙ্ক করছিল ২০০) তার বিখ্যাত গ্রন্থটি হল hereditary genius এ উল্লেখ করেছেন যে, বুদ্ধি বংশগতির উত্তরাধিকার সূত্রে বংশানুক্রমে বাহিত হয়।

তিনি প্রথম বুদ্ধি পরিমাপের জন্য বুদ্ধি অভীক্ষা তৈরীর প্রচেষ্টা চালান। এরপর গ্যালটনের ক্যাটেল বুদ্ধি পরিমাপের জন্য সচেষ্ট হন। সর্বপ্রথম বুদ্ধি অপেক্ষা অফ মেটাল টেস্ট কথাটি ব্যবহার করেন। তবে বিজ্ঞানসম্মত বুদ্ধি অভীক্ষার উদ্ভাবক হিসেবে ফরাসি মনোবিজ্ঞানী আলফাড বাইনেট এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

উপসংহারঃ

উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বুদ্ধি প্রত্যেক মানুষের জীবনের বিশেষ একটি দিক। বুদ্ধির জন্য মানুষের মধ্যে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। তবে বুদ্ধি পরিমাপের যে পদ্ধতি উল্লেখ করা হয়েছে তার সকল ক্ষেত্রে সঠিক নাও হতে পারে।

আরো পড়ুনঃ বুদ্ধি কি

আমাদের শেষ কথা,

বুদ্ধির পরিমাপ সম্পর্কে আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা পরিপূর্ণ বিষয়ে ভালোভাবে এবং পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার পরিচিতজনদের সঙ্গে এবং বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। সকলে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url