সমাজকর্মের পরিধি

সমাজকর্মের পদ্ধতিআসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক গন, আশা করছি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে সমাজকর্মের পরিধি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

আপনারা যারা সমাজকর্মের পরিধি সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। আর উন্নয়নশীল দেশ সমূহের জন্য সমাজকর্মের গুরুত্ব অপরিসীম। সারা বিশ্বে সমাজকর্ম এখন একটি আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত পেশা। দরিদ্র, বেকারত্ব সমস্যা সমাধান প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমাজকর্মের গুরুত্ব অপরিসীম।

বর্তমান বিশ্বে সমাজকর্মে একটি আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত সাহায্যকারী পেশা হিসেবে স্বীকৃতি হওয়ায় এর পক্ষ থেকে দিন দিন বেড়েই চলেছে। ব্যক্তি, দল, সমষ্টিক প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমাজকর্মের প্রয়োগ রয়েছে। নিচে সমাজকর্মের পরিধি এবং প্রয়োগ ক্ষেত্র উল্লেখ করা হলোঃ 

সমাজকর্মের অন্যতম প্রয়োগ ক্ষেত্র হচ্ছে ব্যক্তি। ব্যক্তির সমস্যা চিহ্নিতকরণ, সমস্যা ধরন অনুযায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি সমাজকর্ম গ্রহণ করে থাকে। যা ব্যক্তির সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সমাজকর্ম এমন একটি সাহায্যকারী পেশাজ্জা দলীয় সমস্যা সমাধান করে থাকে। দলীয় ঐক্য শৃঙ্খলা দলীয় সমস্যা সমাধান প্রভৃতি ক্ষেত্রে সমাজকর্ম প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।

সমষ্টি উন্নয়ন এবং সমষ্টি সংগঠনের ক্ষেত্রে সহজকর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সমষ্টির সমস্যা চিহ্নিতকরণ সমস্যার কারণ নির্ণয় সমস্যা উদাহরণ ও কারণ অনুযায়ী সমস্যা সমাধান প্রকৃতির সমাজকর্মের মাধ্যমে সংগঠিত হয়।

বর্তমান বিশ্বে সমাজকর্ম একটি আধুনিক সাহায্যকারী পেশা হওয়ায় বিশ্বের উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশ সমূহের প্রতিটি স্কুল কলেজে সমাজকর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে। শিশুদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করার জন্য সমাজকর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাদের সঠিক বিকাশ যাতে বাধা গ্রস্থ না হয় সে কারণে সমাজকর্মীরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

বর্তমান বিশ্ব সমাজকর্ম কেবল ব্যক্তি পর্যায়ে নেই এখন এটি পারিবারিক ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। পরিবারের অনেক সময় ছন্দ কলহ সৃষ্টি হয়। পারিবারিক দ্বন্দ্বের ফলে পারিবারিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ফলে পারিবারিক জীবন সামাজিক জীবন প্রভৃতি ক্ষেত্রে হতাশার সৃষ্টি হয়। পারিবারিক জীবন স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে সমাজকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং সমাজকর্মের একটি অন্যতম প্রয়োগ ক্ষেত্র হচ্ছে পরিবার।

চিকিৎসা ক্ষেত্রে সমাজকর্মের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমান বিশ্বে প্রতিটি হাসপাতালে একজন করে সমাজকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। বিশেষ করে মানসিক রোগীর সমস্যা সমাধানের সমাজকর্ম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রোগীর ধরন রোগীর মানসিক অবস্থা মনোভাব প্রবৃতি ক্ষেত্রে সমাজকর্মের প্রয়োগ করা হয়। সুতরাং আধুনিক বিশ্বে সমাজকর্মের গুরুত্ব দিন দিন বেড়ে চলেছে। ফলে এর প্রয়োগ ক্ষেত্র বেড়েই চলেছে।

বর্তমান সমাজে দরিদ্র একটি অন্যতম অন্তরায়। দরিদ্র মোকাবেলা করা না গেলে উন্নয়নের অগ্রগতি ব্যাহত হবে। তাই উদয়কে কিভাবে মোকাবেলা করা যায় তার জন্য সমাজকর্ম সাম্যক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ফলে সমাজে দরিদ্রতা হ্রাস পায় এবং উন্নয়নের পথে তরান্তরিত হয়।

প্রতিটি দেশের উন্নয়নের জন্য যুব সমাজের গুরুত্ব অপরিসীম। আর জাতির এই অন্যতম শক্তি যদি বেকার থাকে তাহলে সে দেশের উন্নয়ন কখনো হবে না। কিভাবে বেকারত্ব রাশ করা যায় এবং যুব সমাজকে কাজে লাগিয়ে দেশের উন্নয়ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সমাজকর্ম গ্রহণ করে থাকে। আর এটি একটি সমাজকর্মের গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োগ ক্ষেত্র।

উপরিক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, বর্তমান যুগে সমাজকর্মের প্রয়োগ ক্ষেত্র দিন দিন বেড়েই চলেছে। সমাজকর্মের প্রসার ও তার ফলে ব্যক্তি দল সমস্যা সংগঠনের সার্বিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। সমাজকর্মের দর্শন বিজ্ঞানসম্মত হওয়ায় এবং সাহায্যকারী পেশা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়াই বিশ্বব্যাপী এর প্রসারতা লাভ করেছে।

সমাজকর্মের পরিধি সম্পর্কে আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা পরিপূর্ণ বিষয়ে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে এবং পরিচিতজনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। সকলে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।