সমাজকর্মের পদ্ধতি
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকগণ, আশা করছি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে সমাজকর্মের পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
আপনারা যারা সমাজকর্মের পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে ইচ্ছুক তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল আপনারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রশ্নঃ
সমাজকর্মের পদ্ধতি।
সমাজ কর্মের পদ্ধতি গুলো কি কি।
সমাজকর্মের পদ্ধতিগুলো তুলে ধর।
সমাজকর্মের পদ্ধতি গুলো উল্লেখ কর।
ভূমিকাঃ
সমাজকর্ম পদ্ধতি বলতে সমস্যা গ্রস্ত ব্যক্তি দল বা জনসমষ্টির প্রতিকার, প্রতিরোধ ও উন্নয়নের জন্য পেশাদার সমাজকর্মী কর্তৃক অনুসৃত পন্থা বা কর্মকৌশল কে বোঝায়। পেশা হিসেবে সমাজকর্মের কার্যক্রম শুরু হয় শিল্প বিপ্লবের পর থেকে। তবে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই এটি পাশ্চাত্য বিশ্বে একটি সাহায্যকারী পেশা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
সমাজকর্মের পদ্ধতিঃ
ব্যক্তি, দল ও সমষ্টির সমস্যার বিভিন্ন তার প্রেক্ষিতে সমাজকর্মের সমস্যা সমাধান প্রক্রিয়ায় প্রধানত দুই ধরনের পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। যথাঃ-
ক। মৌলিক পদ্ধতি।
খ। সহায়ক পদ্ধতি।
ক। মৌলিক পদ্ধতিঃ
সমাজকর্মের মৌলিক পদ্ধতি বলতে যেসব কর্ম প্রক্রিয়াকে বোঝায় সেগুলো ব্যক্তি, দল ও সমষ্টির সমস্যা সমাধানে সরাসরি এবং প্রত্যক্ষভাবে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
১। ব্যক্তি সমাজকর্মঃ
ব্যক্তি সমাজকর্ম হচ্ছে সমাজকর্মের এমন এক পদ্ধতি যার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তিকে তাদের সামাজিক ভূমিকা পালন সংক্রান্ত ক্ষমতা কার্যকর ভাবে মোকাবেলা করার জন্য সাহায্য করা হয়।
২। দল সমাজকর্মঃ
দল সমাজকর্ম হলো গঠনমূলক দলীয় অভিজ্ঞতার মাধ্যমে দলের সদস্যদের সামাজিক ভূমিকা পালনে সহায়তা করে।
৩। সমষ্টি উন্নয়ন ও সমষ্টি গঠনঃ
বর্তমানে সমষ্টি উন্নয়ন ও সমষ্টি সংগঠনকে একত্রে জনসমষ্টি সমাজকর্ম বলা হয়। উন্নত সমাজের জনসমষ্টির প্রয়োজন পুরনার্থে সমষ্টি সংগঠন পদ্ধতির উদ্ভব।
আরো পড়ুনঃ সমাজকর্মের বৈশিষ্ট্য
খ। সহায়ক পদ্ধতিঃ
বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় মৌলিক পদ্ধতি গুলো সফলতার সাথে প্রয়োগ করার স্বার্থে সমাজকর্মের যেসব পদ্ধতি সাহায্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে সেগুলোই সহায়ক পদ্ধতি।
১। সমাজ কল্যাণ প্রশাসনঃ
সমাজ কল্যাণ প্রশাসন বলতে সমাজ কর্মের সহায়ক পদ্ধতির সে দিককে বোঝায় যার দ্বারা সামাজিক নীতিমালাকে সামাজিক কার্য বলিতে রূপান্তরিত করা হয়। এটি সমাজ কল্যাণ পরিকল্পনা ও কর্মসূচিকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং বাস্তবায়নে সহায়তা করে।
২। সামাজিক কার্যক্রমঃ
সামাজিক কার্যক্রম বলতে সমাজকর্মের সহায়ক পদ্ধতির সে দিককে বোঝায় যার মাধ্যমে সংঘটিত জনমত সৃষ্টি প্রচেষ্টা চালানো হয় এবং কাঙ্খিত পরিবর্তন সাধনে নিমিত্তে সে জনমতকে বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়।
৩। সমাজকর্ম গবেষণাঃ
সমাজকর্ম গবেষণা বলতে এমন এক গবেষণা বা অনুসন্ধান কাজকে বুঝিয়ে থাকে যা সামাজিক সমস্যা সমাধানের সাথে সম্পর্কিত। অর্থাৎ সমাজকর্ম গবেষণা হলো সুশৃঙ্খল ও সংবদ্ধ অনুসন্ধান প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে সামাজিক সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞান লাভ এবং সমস্যাবলীর সমাধান সম্ভবপর হয়ে থাকে।
উপসংহারঃ
উপরিক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, এই পদ্ধতি গুলোই সমাজকর্ম অনুশীলনের ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয়ে থাকে। প্রকৃতপক্ষে কোন পদ্ধতি সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে এককভাবে যথেষ্ট নয়। পদ্ধতিগুলো পারস্পরিকভাবে সম্পর্কযুক্ত। তাই সমাজকর্ম পদ্ধতি সমন্বিতভাবে প্রয়োগ করার গুরুত্ব দিন দিন বেড়ে চলেছে।
আরো পড়ুনঃ সমাজকর্ম কি
আমাদের শেষ কথা,
সমাজকর্মের পদ্ধতি সম্পর্কে আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা সম্পূর্ণ বিষয়ে পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছেন। আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার পরিচিত জনদের সঙ্গে এবং বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। সকলে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url