সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠকগণ, আশা করছি আপনারা সকলে অনেক ভাল আছেন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
ছবি
আপনারা যারা সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য জানতে ইচ্ছুক তারা অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন সমাজকর্মের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

প্রশ্নঃ

সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
সমাজকর্মের উদ্দেশ্য গুলো লিখ।
সমাজকর্মের উদ্দেশ্য গুলো কি কি।
সমাজ কর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধর।

ভূমিকাঃ 

সমাজকর্মের মূল উদ্দেশ্য সমাজের কল্যাণ সাধনের সহায়তা করা। একটি সুখী ও সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করতে সমাজকর্ম দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সমাজকর্মের নিজস্ব কিছু লক্ষ্য আছে যার ভিত্তিতে কর্মসূচি প্রণীত হয়।
আরো পড়ুনঃ সমাজকর্ম কি

সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ

সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে সমাজবিজ্ঞানীগণ বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন।

১। সামাজিক কুসংস্কার দূরীকরণ।

সকল সামাজিক কুসংস্কার সমাজ উন্নয়নের পথে বাধা স্বরূপ। ব্যাপক জনমত তৈরি সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টি আইন প্রণয়ন প্রভৃতির মাধ্যমে সমাজ সংস্কার করা হয়। সমাজকর্ম এ লক্ষ্যে কাজ করে থাকে। এটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যের মধ্যে একটি।

২। প্রয়োজনীয় সম্পদের ব্যবস্থাঃ 

সম্পদ বলতে বস্তুগত ও অবস্তুগত দুই ধরনের সম্পদ কে বোঝায়। সমাজকর্ম বিশ্বাস করে যে সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য সম্পদ অপরিহার্য। কারণ সংগঠিত জনগণ এই শক্তি। তাই সামাজিক সমস্যার সমাধানের সম্পদ সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করায় সমাজকর্মের অন্যতম লক্ষ্য।

৩। জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাঃ 

যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য সমস্যা গ্রস্ত জনগণের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আধুনিক সমাজকর্ম তাই সমষ্টিগত অংশগ্রহণকে গুরুত্বপূর্ণ করে থাকে। এটি তার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।

৪। মানবসম্পদের উন্নয়নঃ 

মানব সম্পদের উন্নয়ন মানে সমাজের উন্নয়ন। মানুষকে সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করার নীতিতে সমাজকর্ম বিশ্বাস করে। দলমত নির্বিশেষে সমাজের সকলের মানুষের উন্নয়নের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা আধুনিক সমাজকর্মের অন্যতম লক্ষ্য।

৫। সমন্বয় সাধন করাঃ 

সকল সরকারি ও বেসরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাধনের মাধ্যমে সমাজের সর্বাধিক কল্যাণ করা সম্ভব। কারণ সমন্বয়হীন কাজের মাধ্যমে সুফল আশা করা যায় না। সমাজের মঙ্গলে নিয়োজিত সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা সমাজকর্মের অন্যতম লক্ষ্য।

৬। জাতীয় উন্নয়নঃ

জাতীয় উন্নয়ন বলতে সমগ্র দেশের উন্নয়নকে বোঝানো হয়েছে। এখানে বিশেষ ব্যক্তি বা কোন অঞ্চলের উন্নয়নকে আনা যাবে না। সমাজের সকল শ্রেণীর উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নকে তরান্তরিত করা আধুনিক সমাজকর্মের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য।

৭। পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়নঃ

মানুষের পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটলে অনেক সমস্যা রই সমাধান সম্ভব হয়। সমাজকর্ম চাই সমাজে সম্প্রীতি ও সৌন্দর্যমূলক পরিবেশ বজায় থাকুক। তাই মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সমাজের উন্নয়ন সাধন সমাজকর্মের লক্ষ্য।

৮। সমস্যার বৈজ্ঞানিক সমাধানঃ

সমাজের প্রকৃত কল্যাণের জন্য সমস্যার স্থায়ী সমাধান অত্যাবশ্যক। স্থায়ী সমাধান তখনই সম্ভব যখন সমস্যাটি বৈজ্ঞানিকভাবে মোকাবেলা করা হবে। সমস্যার বিজ্ঞানসম্মত তথা স্থায়ী সমাধানের মাধ্যমে সমাজের উন্নয়ন সাধন সমাজকর্মের লক্ষ্য।

উপসংহারঃ

পরিশেষে বলা যায় যে, সমাজকর্মের প্রতিটি লক্ষ্যের পিছনে সমাজ তথা মানুষের কল্যাণ নিহিত। একটি সুন্দর সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যই সমাজকর্ম কাজ করে থাকে। ফলে মানুষ এ থেকে সুফল পেয়ে থাকে। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সমাজকর্ম তার নিজস্ব পদ্ধতির মাধ্যমে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
আরো পড়ুনঃ মনোযোগ কি

আমাদের শেষ কথা,

সমাজকর্মের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে পরিপূর্ণ বিষয়ে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার পরিচিতজনদের সঙ্গে এবং বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। সকলে ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url