প্রেষণার তত্ত্ব
আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় পাঠকগণ, আশা করছি সকলে ভালো আছেন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে প্রেষণার তত্ত্ব নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
আপনাদের মধ্যে যারা প্রেষণার তত্ত্ব সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক তাহলে অবশ্যই আজকের এই আর্টিকেল একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
প্রশ্নঃ
প্রেষণার তত্ত্ব।
প্রেষণার তত্ত্বসমূহ বর্ণনা কর।
প্রেষণার তথ্যসমূহের বিবরণ দাও।
প্রেষণার তত্ত্ব সমূহ আলোচনা কর।
ভূমিকাঃ
মানব আচরণের যেসব অভ্যন্তরীণ মানসিক প্রক্রিয়া সক্রিয় ভূমিকা পালন করে সে সবের মধ্যে প্রেষণা অন্যতম। মানুষ এবং প্রাণীর সব ধরনের আচরণের পিছনে প্রেষণার ভূমিকা রয়েছে। প্রেষণাই মানুষকে কাজে তাড়িত করে। মনোবিজ্ঞান প্রেষণাকে মানব আচরণ ব্যাখ্যার অন্তবর্তী প্রক্রিয়া হিসেবে চিহ্নিত করেন। প্রেষণা মানব আচরণের সক্রিয়তা ও বৈচিত্র্য দান করে। মানুষের এমনকি প্রাণীর বিভিন্ন আচরণ ও কর্মতৎপরতার পিছনে কোন না কোন ধরনের প্রেষণা সম্পর্কিত রয়েছে। দৈনন্দন জীবনে অসংখ্য প্রেষণা বা তাড়নার কথা আমরা বলে থাকি। যেমন-অভাব প্রত্যাশা চাহিদা প্রয়োজন লক্ষ্য আকাঙ্ক্ষা ক্ষুধা তৃষ্ণা স্নেহ ভালোবাসা প্রতিশোধ ইত্যাদি।
প্রেষণার তত্ত্বঃ
প্রেষণাকে বোঝার জন্য বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রচলিত আছে। এ তথ্যসমূহের মাধ্যমে বিভিন্ন মনোবিজ্ঞানী প্রেষণা কে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছেন। নিচে তত্ত্ব আলোচনা করা হলো।
ক। প্রেষণার সহজাত প্রবৃত্তি তত্ত্বঃ
প্রত্যেকটি প্রাণী নির্দিষ্ট কিছু অবস্থায় প্রতিক্রিয়া করতে সহজাত প্রবণতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। প্রাণীর এ ধরনের নির্দিষ্ট আচরণ শিক্ষণের উপর নির্ভর করে না। এ প্রকৃতির আচরণ সহজাত। তাই নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে পরিচালিত এ ধরনের আচরণকেই সহজাত প্রবৃত্তি তত্ত্ব বলা হয়। যেমন-মাতৃত্ব। মনোবিজ্ঞানীগণ এ কে নির্দিষ্ট সক্রিয়তার ধরন বলেও আখ্যায়িত করেন। ১৯ পর্যন্ত তাত্ত্বিকগণ সহজাত শাড়ির বৃত্তীয় প্রবৃত্তিকে প্রেষণার ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতেন। উইলিয়াম ম্যাকডুগাল এর সহজাত প্রবৃত্তি তত্ত্ব ২০ শতকের প্রথমার্ধ পর্যন্ত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হিসেবে বিবেচিত হতো। ম্যাকডুগাল সহজ াত আচরণের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিকের কথা উল্লেখ করেছেন। সেগুলো হল।
- সহজাত আচরণ অশিক্ষণীয়।
- সহজাত আচরণের বহিঃপ্রকাশের সর্বজনীনতা।
- নির্দিষ্ট প্রজাতির জন্য সহজাত আচরণ সর্বজনীন।
১। সহজাত আচরণ অশিক্ষণীয়ঃ
সহজাত আচরণের সাথে শিক্ষণের কোন সম্পর্ক নেই। যেমন-ক্ষুধা বা যৌনকাংক্ষা।
২। সহজাত আচরণের বহিঃপ্রকাশের সর্বজনীনতাঃ
নির্দিষ্ট প্রেষণার সহজাত আচরণ সর্বজনীন। যেমন-ক্ষুধার সময় খাদ্য সংগ্রহ করতে সব প্রাণী ব্যস্ত থাকে।
৩। নির্দিষ্ট প্রজাতির জন্য সহজাত আচরণ সর্বজনীনঃ
এক্ষেত্রে প্রজাতি অনুসারে সহজাত আচরণের ভিন্নতা থাকে। যেমন-মিলনের সময় হলে কোন কোন প্রাণী বাসা তৈরি করে আবার কোন প্রাণী এ ধরনের আচরণ করে না। সহজাত প্রবৃত্তির তত্ত্বটি ইতর প্রাণীর আচরণ কে ব্যাখ্যার মধ্যে নিহত আছে। ম্যাকডুগাল মনে করেন মানুষের আচরণের ক্ষেত্রেও সহজাত প্রবৃত্তির গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। তিনি মানবীয় সহজাত প্রবৃত্তির একটি তালিকা তৈরি করেছেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে সহানুভূতি জনকাংখা পরিছন্নতা হিংসা ইত্যাদি।
মানবীয় আচরণের ক্ষেত্রে সহজাত প্রবৃত্তি তত্ত্ব কি ভূমিকা পালন করে এ নিয়ে মনোবিজ্ঞানীদের মধ্যে মতদৈত্যতা রয়েছে। তাদের মতে মানবীয় আচরণকে যদি খুব সূক্ষ্ম বিশ্লেষণের আওতায় আনা যায় তবে সহজ প্রবৃত্তি তত্ত্ব তা ব্যাখ্যা করতে পারেনা। যেমন এক্ষেত্রে আক্রমণাত্মক প্রবৃত্তির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। মানুষ কেন অন্যান্য প্রাণীর চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক বা অগ্রসী আচরণ বা ভূমিকায় প্রবৃত্ত হয়। এর উত্তরে ফ্রয়েড সহ অন্যান্য মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন যে মানুষের মধ্যে একটি শক্তিশালী অগ্রাসী প্রবৃত্তি সহযাত রয়েছে।
আবার অনেক মনোবিজ্ঞানী সহজ প্রবৃত্তির যে তালিকা প্রদান করা হয়েছে সে বিষয়ে একমত হতে পারেননি। কারণ সহজে প্রবৃত্তির ধারণা অস্পষ্টতা রয়েছে। এছাড়া অনেক সহজাত প্রবৃত্তি সর্বজনীন নয়। যেমন গুচি বায়ু গ্রস্ততা। তাই মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন সহজাত প্রবৃত্তির তত্ত্ব কিছু নির্দিষ্ট প্রজাতির আচরণের ব্যাখ্যায় কার্যকর। বর্তমানে গবেষক প্রমাণ করতে পেরেছেন যে সহজাত প্রবৃত্তি টিকে শিক্ষণের মাধ্যমে সংস্কার করা সম্ভব।
আধুনিক কালে কিছু মনোবিজ্ঞানী মানব প্রেষণা কে বুঝতে সহজাত সংশ্লিষ্ট ইনস্ট্রেনেট ওরিয়েন্টেড বিষয়ী ব্যাখ্যার কথা বলে। এ ধরনের তাত্ত্বিকগণ নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যের ক্ষেত্রে শরীরবৃত্তীয় দিকটির উপর জোর দেন। যেমন জন আকাঙ্ক্ষা কিংবা আগ্রাসন ইত্যাদি। বর্তমানে ইও ওয়েলসন এর জৈব সামাজিক তত্ত্ব বা সোশ্যাল বায়োলজিক্যাল থিওরি একটি প্রচলিত ও প্রসিদ্ধি সহজাত প্রবৃত্তির মডেল হিসেবে বিবেচিত। এ তথ্যটি মানুষ সহ অন্যান্য প্রাণীর সামাজিক আচরণের বংশগত ও বিবর্তনগত দিকের ওপর গুরুত্ব প্রদান করে।
খ। প্রেষণার নোদনা বা তাড়না তত্ত্বঃ
প্রেষণার অতীব প্রচলিত তথ্য হচ্ছে তাড়নার সাথে প্রেষণার সংশ্লিষ্টতা। এ তত্ত্ব কে পুশ থিওরিস অফ মোটিভেশনাল বলেও অক্ষায়িত করা হয়। ব্যক্তি বা প্রাণীর অভ্যন্তরীণ তারনা নির্দিষ্ট আচরণের দিকে ঠেলে দেয়। তাই প্রাণের মধ্যে যখন কোন তাড়নামূলক অবস্থার সৃষ্টি হয় তখন প্রাণী নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য আচরণের নিয়োজিত হয় এবং তাড়না অবস্থার হ্রাস ঘটায়। মানুষের ক্ষেত্রে একটি উপযুক্ত ও যথাযথ লক্ষে পৌঁছানোর মাধ্যমে সন্তুষ্টি অর্জিত হয়। তাড়না তত্ত্বের মতেও প্রেষণা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট এগুলো হলঃ-
- একটি তাড়নামূলক অবস্থা।
- তারণামূলক অবস্থা দ্বারা সৃষ্ট কোন লক্ষ কেন্দ্রিক আচরণ।
- নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জন।
- তারনামূলক অবস্থার হ্রাস বা লক্ষ্যে পৌঁছানোর পর সন্তুষ্টি লাভ।
তাড়না তত্ত্বের পুনর্বি কাশ ১৯৪০ এবং ১৯৫০ সালের দিক কাল হল এর মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। তাড়নার সম্পর্কে হলের ধারণা ওয়ালটার canon এর দ্বারা প্রবাহিত। কেননা canon ইন্দ্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি ভারসাম্যমূলক অবস্থা বা হোমিও স্ট্যাটিস কে পর্যবেক্ষণ করে। শরীর বিভিন্ন উপায় তার অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য রক্ষা করে। যেমন আমাদের শরীরের তাপমাত্রা যদি কমে বাড়ে তবে তার একটা পরিবর্তন আমরা সহজে বুঝতে পারি।
তাড়না তত্ত্ব আচরণের এই ভারসাম্য মূলক দিককে তুলে ধরে। তাড়না হচ্ছে শরীরের অভ্যন্তরীণ অবস্থা যা নির্দিষ্ট লক্ষ্যে অর্জনের জন্য ইন্দ্রিয় ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে লক্ষা বিমুখী আচরণ সম্পাদনের মাধ্যমে কোন তাড়নামূলক অবস্থার রাস ঘটায়। তারনার মধ্যে একটি গতির বা ভাব থাকে। তাড়ানো তত্ত্ব প্রেষণার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হিসেবে মনোবিজ্ঞানীদের নিকট। গ্রহণযোগ্য। তথাপি এ তথ্য সব প্রেষণাকে ব্যাখ্যা করতে পারে না। বিশেষ করে মানবীয় আচরণের সাথে ভারসাম্যমূলক অবস্থার সৃষ্টি এ ধারণাটি অসঙ্গতিপূর্ণ।
তাড়না অবস্থার উৎস নিয়েও তাত্ত্বিক গণের মধ্যে ভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। কিছু তাত্ত্বিক মনে করেন তাড়নার অবস্থা সহযাত ও জন্মগত। আবার কোন কোন বিজ্ঞানী তাড়নার অবস্থার সাথে শিক্ষণের ভূমিকা কে উল্লেখ করেন। তাদের মতে শিক্ষনীয় তাড়না প্রাণীর প্রশিক্ষণ বা অতীত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ভিন্ন হয়। যেমন-নেশা শক্ত ব্যক্তি পুনরায় নিঃশেষত্ব হতে তাড়িত হয়। আবার সামাজিকভাবে কিছু শিক্ষণকৃত প্রেষণা যেমন-সামাজিক ক্ষমতা অগ্রাসন কিংবা কোন ধরনের অর্জনের কথা এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে।
গ। সক্রিয়তার তত্ত্বঃ
মনোবিজ্ঞানে প্রেষণার তত্ত্ব গুলোর মধ্যে আরেকটি তথ্য হলো সক্রিয়তার তত্ত্ব। মানুষের কোন কোন আচরণ কে ব্যাখ্যা করার জন্য সক্রিয়তার তত্ত্বের বিকাশ। কোন কোন ক্ষেত্রে মানুষের তাড়না কমানোর চেয়ে তার বৃদ্ধি ঘটে। সক্রিয়তার তত্ত্বের আমাদের কার্যক্রমের একটি সাধারণ স্তর সম্পর্কিত আলোচনা করা হয়েছে।
রক্তচাপ মাংসপেশির সংকোচন মস্তিষ্কের কার্যাবলীর মধ্য দিয়ে এ ধরনের সক্রিয়তার প্রতিফলন ঘটে। সক্রিয়তার দিনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হয়ে থাকে। ঘুমের মধ্যে এ সক্রিয়তার সর্বনিম্ন পর্যায়ে থাকে এবং যখন খুব কষ্টসাধ্য কাজ করা হয় তখন তা সর্বোচ্চ স্তরে থাকে। এ তত্ত্ব অনুসারে আমরা সক্রিয়তার সম্মতি নির্ণয় বা সর্বোচ্চ স্তরের চেয়ে কাম্য স্তরের খুজে থাকি।
সাধারণত আমরা যাই করি না কেন এরপর আমাদের সেই স্তর আমাদের ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তাই কাম্য সক্রিয়তা। যেমন-মিষ্টি সুরের গান শোনার সময় অপেক্ষাকৃত নিচ স্তরের শব্দই কাম্য সক্রিয়তা আবার কোন প্রতিযোগিতার সময় উচ্চ শব্দই প্রযোজ্য। সক্রিয়তার তত্ত্বের পক্ষে বেশ কিছু গবেষণা বা অনুদানের সমর্থন রয়েছে।
কেননা প্রায়ই দেখা যায় সক্রিয়তা ও কর্ম সম্পাদনের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট অবস্থায় কর্মসম্পাদনের জন্য ঠিক কি ধরনের সক্রিয়তা প্রয়োজন তা নির্ধারণ করা কঠিন। আবার ব্যাক্তি ভেদে সক্রিয়তার বিভিন্ন তা পরিলক্ষিত হয়। যেমন-কোন কার্য সম্পাদনের ক্ষেত্রে কেউ হয়তো উচ্চ সক্রিয় তাকে পছন্দ করে। তাই দেখা যাচ্ছে সে সক্রিয়তার তত্ত্ব প্রেষণা সম্পর্কে একদিকে যেমন গভীর অন্ত দৃষ্টির সন্ধান দেয় একই সাথে তার কিছু সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয়।
ঘ। প্রত্যাশা তত্ত্বঃ
প্রেষণের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব হল প্রত্যাশা তত্ত্ব। আমরা সবসময়ই যে শারীরিক বৃত্তীয় তাড়না দ্বারা পরিচালিত হই এমন নয়। যেমন-আমরা কেন পড়াশোনা করি? এর নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে। এ লক্ষ্য হতে পারে জ্ঞান অর্জনের জন্য অথবা কোন ডিগ্রী পাওয়ার আশায়। তাই বলা যায় আমাদের আচরণ আমাদের আকাঙ্ক্ষা যারা পরিচালিত হয় এবং তা ভবিষ্যতে ফলাফল প্রদান করে। এ কারণেই প্রত্যাশা তত্ত্বটি একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হিসেবে বিবেচিত।
প্রত্যাশা তত্ত্ব অনুসারে প্রেষণা অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন প্রজনা বা তারানা থেকে উদ্ভব হয় না। বরং তা বিভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের প্রত্যাশা বা আকাঙ্ক্ষর মাধ্যমে উৎসাহিত হয়। এ তত্ত্বে প্রত্যাশার ফলাফল উৎসাহ হিসেবে অভিহিত করা হয়। অর্থ মর্যাদা ক্ষমতা প্রসারতা ইত্যাদি এ ধরনের কিছু আকাঙ্ক্ষা বা প্রত্যাশা উদাহরণ। আমরা আমাদের চারপাশে দেখি কোনো না কোনো মানুষ খুব কষ্টসাধ্য কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে।
কারণ তারা বিশ্বাস করে তাদের এই প্রচেষ্টা তাদের ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ ঘটবে। আকাঙ্ক্ষা বা প্রত্যাশা তত্ত্বটি মানব প্রেষণার বহু ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা যায়। এ ধারণাটি প্রয়োগ কর্মপের সোনা এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। যেমন-মানুষ বেশি কাজ করে অতিরিক্ত বেতন বোনাস প্রমোশন কিছু পাওয়ার জন্য।
উপসংহারঃ
উপরোক্ত আলোচনা হতে বলা যায় যে, প্রেষণার বিভিন্ন তত্ত্ব রয়েছে। প্রেষণার সক্রিয়তার তত্ত্ব দ্বারা ব্যক্তির আচরণকে ব্যাখ্যা করা হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর তত্ত্বের সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয়। তেমনি আরেকটি তথ্য হলো প্রত্যাশা তত্ত্ব। প্রেষণার প্রত্যাশা তত্ত্ব মানুষকে বিভিন্ন লক্ষ্য অর্জনের প্রত্যাশা বা আকাঙ্ক্ষার মাধ্যমেই উৎসাহিত করে। আর তাড়না তত্ত্বে বলা হয় প্রেষণা মানুষকে বিভিন্ন কাজ করতে তাড়িত করে। মানুষ নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য আচরণে নিয়োজিত হয়। আর একটি লক্ষ্য অর্জনের পর মানুষের সামনে আরেকটি লক্ষ্য উত্থাপিত হয় এবং ব্যক্তির মধ্যে তারানা সৃষ্টি করে ব্যক্তির কর্মশক্তিকে তৎপর করে।
এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url