ইতিহাসের জনক কে? আধুনিক ইতিহাসের জনক কে?

ইতিহাসের জনক কে? আধুনিক ইতিহাসের জনক কে? আজকে আমরা আলোচনা করব ইতিহাসের জনক কে আধুনিক ইতিহাসের জনক কে ইতিহাস কাকে বলে ইতিহাসের ধারণা ইতিহাসের জনক হিসেবে হেরোডোটাস কে ধরা হয় কেন এবং ইতিহাস সম্পর্কিত আরো যাবতীয় তথ্য নিয়ে আজকে আমরা এই আর্টিকেল এর মধ্যে হাজির হয়েছি।
ছবি
বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে আপনাদেরকে অবশ্যই প্রশ্ন করা হতে পারে যে ইতিহাসের জনক কে এবং সেই কারণে অবশ্যই আপনাদের এই ইতিহাসের জনক কে এই বিষয়টা সেই সময় উপস্থিত মানুষকে বলার জন্য অবশ্যই আপনার জানতে হবে যে ইতিহাসের জনক কে। তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক ইতিহাসের জনক কে।

পেজ সূচিপত্রঃ ইতিহাসের জনক কে? আধুনিক ইতিহাসের জনক কে? 

ইতিহাস কাকে বলে?

সাধারণভাবে বলতে গেলে বর্তমান ও অতীতের মধ্যে অন্তহীন সংলাপ তাকে ইতিহাস বলা হয়। ইতিহাস বলতে যে অতীতে কোনো বিষয় ঘটে গেছে তা নিয়ে বর্তমানে আলোচনা চর্চা এবং যা কিছু হয়ে গেছে তাকে নিয়ে আবার পুনরায় নতুনভাবে সকল কিছু জানাজানির বিষয় হল ইতিহাস। ইতিহাসের এমন নানা বিষয় রয়েছে যেগুলো বর্তমান সময়ে অনেক প্রচলিত।
আরো পড়ুনঃ অকাস কি
ইতিহাস নিয়ে অতীতের অনেক কিছু চর্চার বিষয় রয়েছে সেইগুলো শিক্ষা ভাষা শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষিত করে রাখার একটি বিষয় হল ইতিহাস। ইতিহাস থেকে এখন অনেক কিছু শেখা যায় কেননা ইতিহাস এর মধ্যে অনেক এমন কাহিনী লুকিয়ে রয়েছে যেগুলো অনেক বেশি প্রয়োজন। ইতিহাস বলতে অতীতের ঘটনাকে বোঝানো হয়।

ইতিহাসের জনক কে?

ইতিহাসের জনক হলেন হেরোডোটাস। ইতিহাসের জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় হেরোডোটাস কে। তিনি ছিলেন প্রাচীনকালের এক ইতিহাসবিদ যিনি ইতিহাস নিয়ে অনেক বেশি চর্চা করতেন নিয়মিত। তিনি যখন ইতিহাস নিয়ে চর্চা করছেন তখন অবশ্যই তিনি একটি বই প্রকাশ করেছিলেন সেই বইটি সেই সময় থেকে অনেক বেশি প্রচলিত এবং সকলের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

সেই বইটির নাম হলঃ- The Histories দি হিস্টোরিস এই বইটি যখন থেকে তিনি লিখেছেন তখন থেকে সকলের কাছে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করে রয়েছে এ বইটি। এই বইটিতে সাধারণত তুলে ধরা হয়েছে গ্রিক ও পার্শিয়ান যুদ্ধগুলোর ওপর গবেষণার একটি বিশদ নথি। যার কারণে সবচাইতে বেশি আলোচনায় আসে এবং সকল অনেক বেশি পছন্দ করে।

বর্তমান সময়ে এমন অনেক লেখকের রয়েছে যারা হেরোডোটাস এর জীবনী খোঁজার জন্য তার লেখা সকল বই চর্চা করে এবং পুনরায় তারা পড়তে থাকে কিন্তু হেরোডোটাস এর জীবনী সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্য তারা পায় না কেননা হেরোডোটাস কোন ধরনের তথ্য রাখেনি বর্তমানে সবচাইতে কম তথ্য লেগেছে যার কারণে বর্তমান সময়ের লেখকরা তথ্য পায় না।

হেরোডোটাস এর জীবনী সম্পর্কে যদি কেউ দেখতে চাই তাহলে অবশ্যই সেটা আন্দাজের ওপর লিখতে হবে নয়তো লিখতে পারবে না সঠিক তথ্যের উপরে। কেননা হেরোডোটাস তেমন কোনো তথ্য রেখে যায়নি আর সঠিক তথ্য পাওয়া বললে অনেক মুশকিল। সেই কারণে হেরোডোটাস এর জীবনী সম্পর্কে সকলেই এখনো অজানা।

আধুনিক ইতিহাসের জনক কে? 

ইতিহাসের জনক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় হেরোডোটাস কে। এবং অবশ্যই আপনারা এই বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করেন হেরোডোটাস ইতিহাসের জনক। কিন্তু আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে আধুনিক ইতিহাসের জনক বলা হয় কাকে। তাহলে অবশ্যই আপনারা জানতে পারেন যে আধুনিক ইতিহাসের জনক বলা হয়ঃ- লিওপোল্ড ফন র‍্যাঙ্ক।
তিনি ছিলেন একমাত্র আধুনিক ইতিহাসের জনক। তিনি আধুনিক ইতিহাস নিয়ে চর্চা করতেন এবং আধুনিক ইতিহাস সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য তিনি প্রকাশ করতেন সেই কারণে সকলেই তাকে আধুনিক ইতিহাসের জনক হিসেবে আখ্যায়িত করে এবং সকলেই আধুনিক ইতিহাসের জনক হিসেবে জানতে থাকে।

ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস কে বলা হয় কেন

ইতিহাসের জনক হিসেবে হেরোডোটাস কে অক্ষয় করার কারণ হলো তিনি এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যে সর্বপ্রথম ইতিহাস নিয়ে চর্চা শুরু করেন এবং ইতিহাস সম্পর্কে সকলের কাছে তুলে ধরেন এবং বিভিন্ন বই সম্পর্কে তিনি তুলে ধরেন ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করার মাধ্যমে। যার কারণে সকলের কাছে পরিচিত ছিল তাঁর লেখা কয়েকটি বই।

ইতিহাস নিয়ে একদম সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য তুলে ধরতেন মানুষের মাঝে যে কারণে তিনি সকলের কাছে অনেক পরিচিত হিসেবে ছিলেন। ঐতিহাসিক ধাতুসমূহ সংগ্রহ করে ইতিহাসের লিখন ধারা লিখতেন তিনি যার কারণে সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য দিতে পারতেন। তার লেখা একটি বই দি ফাদার অফ হিস্টরি বা ইতিহাসের জনক বলা হয়।

ইতিহাস সম্পর্কিত তথ্য

অতীতের কোনো ঘটনা নিয়ে আলোচনার বা জানার ইচ্ছায় হল ইতিহাস বা অতীতে ঘটে গেছে এমন কোন বিষয় হল ইতিহাস। ইতিহাসের উপাদান কে সাধারণত আমরা দুই ভাগে ভাগ করে থাকি যথাঃ-১। লিখিত ইতিহাস ২। অলিখিত ইতিহাস। আবার ইতিহাসকে আরো দুই ভাগে ভাগ করা হয় সেটি হলঃ- ১। ভৌগলিক অবস্থানগত ২। বিষয়বস্তুগত ইতিহাস।
যে সকল বিষয় নিয়ে সকলে আলোচনা করে এবং নতুন নতুন গবেষণা করছে সেই সকল বিষয় ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত। কেননা ইতিহাসে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো বর্তমান সময়ে সকলে নিয়ে চর্চা শুরু করেছে এবং বৈজ্ঞানিক রূপ এবং নির্ভুল তথ্য জন্য ইতিহাস ব্যবহার করে থাকে। ইতিহাসের মধ্যে সকল তথ্য নির্ভুলভাবে দেওয়া থাকে।

ইতিহাসে এমন অনেক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যেগুলো ঘটে যাওয়া কোনো ঘটনার সঠিক বিবরণ হিসেবে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা যায় ইতিহাসের কারনে। আবার ইতিহাস থেকে অনেক বিষয় বহমান বিষয় সম্পর্কে জানা যায় যা ইতিহাস জানতে সাহায্য করে। মানুষের সকল যাবতীয় নির্ভুল তথ্য তুলে ধরা হয় ইতিহাসের মধ্যে সঠিক তথ্য রয়েছে ইতিহাস এর মধ্যে।

আমাদের শেষ কথা,

ইতিহাসের জনক কে আধুনিক ইতিহাসের জনক কে এতিহাস এর জনক হেরোডোটাস কে বলা হয় কেন এসকল বিষয় সম্পর্কে আশা করছি আপনারা সকল কিছু ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। সকলে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url