ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি?

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি-বর্তমান সময়ে সবচাইতে বেশি ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যবহার অনেক বেশি হচ্ছে। কেননা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করার মাধ্যমে মানুষ কল্পনার জগতে চলে যেতে পারছে বর্তমান জগৎ থেকে। ভার্চুয়াল রিয়ালিটি এমন একটি জগত যেখানে মনে হবে আপনি সত্যিকারের সেই জগতে রয়েছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আপনি সেইখানে থাকবেন না।
ছবি
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কিত সকল তথ্য নিয়ে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কিভাবে কাজ করে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপাদান ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ঘটনা পজি, প্রত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব প্রত্যেক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির নীতিবাচক প্রভাব তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক। 

পেজ সূচিপত্রঃ ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি? 

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি? 

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কাকে বলে বা ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি অবশ্যই এই বিষয়ে আপনাদের জানার ইচ্ছা অনেক বেশি তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কাকে বলে।

প্রকৃত অর্থে বাস্তব নয় কিন্তু বাস্তবের চেতনা উদ্বেগ কারি বিজ্ঞান নির্ভর কল্পনাকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বা অনুভবে বাস্তবতা কিংবা কল্প বাস্তবতা বলে।

ভার্চুয়াল রিয়ালিটি একে সংক্ষেপে বলা হয় ভি আর। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি মূলত কম্পিউটার প্রযুক্তি ও শিমুলেশন তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত। এতে ব্যবহৃত সফটওয়্যার গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-ভিজার্ড, ভিআর টেলকিট, থ্রি ডি স্টুডিও ম্যাক্স, মায়া ইত্যাদি। ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ত্রিমাত্রিক ইমেজ তৈরির মাধ্যমে অতি অসম্ভব কাজও করা সম্ভব হয়।
আরো পড়ুনঃ রোবটিক্স কি
কল্পনার পাখায় ভর করে ইচ্ছে করলে তাদের মাটিতে হেটে আসা, প্রশান্ত মহাসাগরের গভীরের বা গভীরতম অঞ্চলে ঘুরে আশা, মানুষের মস্তিষ্কের নিউরাল সংযোগের উপর দিয়ে হাটা কিংবা জ্বরাসিক পার্কের সেই অতিকায় ডাইনোসরের তারাও খাওয়া যায়। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ।

যেখানে ব্যবহারকারী ওই পরিবেশে মগ্ন হতে বাস্তবের অনুকরণের সৃষ্ট দৃশ্য উপভোগ করতে সেই সাথে বাস্তবের ন্যায় শ্রবণাম অনুভূতি এবং দৈহিক ও মানসিক ভাব আবেগ উত্তেজনা অনুভূতি প্রকৃতি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। তাই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি জগতটা অনেক সুন্দর এবং মধুময় যদি আপনি ঠিক মতন ব্যবহার করতে পারেন তো।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপাদানসমূহ

তাহলে চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি কি উপাদান রয়েছে সেই উপাদান গুলোর সঙ্গে পরিচিত হয়ে নেওয়া যাক ভার্চুয়াল রিয়েলিটির উপাদান হলোঃ-
  • রেড মাউন্টেন ডিসপ্লে
  • ডেটা গ্লোভ
  • একটি পূর্ণাঙ্গ বডি সুইট
  • উচ্চমানের অডিও ব্যবস্থা
  • রিয়ালিটি ইঞ্জিন
  • বিভিন্ন ধরনের সেন্সর
  • বিভিন্ন সিমুলেশন মডেলিং ও গ্রাফিক্স সফটওয়্যার

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি তৈরীর উপাদানসমূহ

  • ইফেক্টর-ইফেক্টর হল ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে ব্যবহৃত এক বিশেষ ধরনের ইন্টারফেস ডিভাইস। এটি ব্যবহারকারীকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি পরিবেশের সাথে সংযুক্ত করে। হেড মৌন্টেন্ট ডিসপ্লে বা এইচএমডি ডেটা গ্লোভ পূর্ণাঙ্গ বডি সুইট ইত্যাদির উদাহরণ।
  • রিয়েলিটি সিমুলেটর-এটি এক ধরনের হার্ডওয়্যার যা ইফেক্টর কে সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করে। যেমন বিভিন্ন ধরনের সেন্সর ট্রান্সসি অর্ডার উচ্চ মানের অডিও ভিডিও ব্যবস্থা রিয়ালিটি ইঞ্জিন ইত্যাদি।
  • এপ্লিকেশন-ভার্চুয়াল পরিবেশ ও প্রাসঙ্গিকতা তৈরিতে বিভিন্ন সিমুলেশন সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন-অটো ডেক্সের তৈরি ডিভিশন যা সাধারণত ইন্টেল প্রসেসর সংবলিত পিসিতে ব্যবহৃত হয়।
  • জিওমেট্রি-জিওমেট্রি হল ভার্চুয়াল পরিবেশের বিভিন্ন বাস্তব বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কিত তথ্যাবলী।, যেমন ভার্চুয়াল রিয়েলিটি তে ব্যবহৃত ত্রিমাত্রিক মডেল সমীকে অটোডেক্স থ্রিডি স্টুডিও ম্যাক্স বা মায়া প্রভৃতি সফটওয়্যার ব্যবহার করে তৈরির পর এই ফাইলগুলোকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটিতে রেন্ডারিং ও অথরিং এর জন্য এক্সপোর্ট করা হয়ে থাকে।
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি একজন ব্যক্তিকে কোনরকম শারীরিক ঝুঁকি বা বিপদ ছাড়াই বাস্তবে অভিজ্ঞতা প্রদান করে। সম্প্রতি গুগল লাইভলি নামে ভার্চুয়াল চ্যাটিং সার্ভিস চালু করেছে একটি ভার্চুয়াল কক্ষ বা পরিবেশে যে কেউ তার বন্ধু বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে প্রবেশ করতে পারে। যেখানে ইচ্ছেমতো বস্তু দিয়ে সাজানো বন্ধুদের সাথে মারামারি নাচানাচি আবেগের গ্রাফিক্যাল প্রকাশ ইত্যাদি সম্ভব।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ঘটনা পঞ্জি

  • ফরাসি নাট্যকার কবি অভিনেতা ও নির্দেশক এন্টোনিম আর্চিওড এর ১৯৩৮ সালে প্রকাশিত গ্রন্থ the theatre and its double এ তিনি সর্বপ্রথম ভার্চুয়াল রিয়েলিটি শব্দটি ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে ডমিয়েন ব্রড রিক এর thed Judas Mandala নামক সাইন্স ফিকশনে ভার্চুয়াল রিয়ালিটি শব্দ ব্যবহার হয়।
  • ১৯৬১ সালে মর্টন এল হেলিগ তার সেন্সরামা সিমুলেটর নামক যন্ত্র দিয়ে প্রথম বাস্তব উপায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটিকে উপস্থাপন করলেও এর সাথে কম্পিউটারের কোন সম্পর্ক ছিল না।
  • আধুনিক ভার্চুয়াল রিয়েলিটি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয় ১৯৮০ সাল থেকে। ১৯৮৪ সালে হ্যাকার লেনিয়ার তার বিপিএল রিচার্জ কর্পোরেশনের ভার্চুয়াল ইন্ডিয়ান গবেষণা শুরু করেন যা আজকের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির জন্ম দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার অবস্থিত।

বাংলাদেশে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি

দেশের মানুষ বিশেষ করে নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলা এবং বিনোদনের মাধ্যমে মহাকাশের গ্রহ নক্ষত্র সম্পর্কে ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৯৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয় এবং ২০০৪ সাল থেকে দর্শকদের জন্য চালু করা হয়। ঢাকা শহরে বিজয় স্মরণীতে অবস্থিত একটি স্থাপনা।

এখানে নভোমন্ডল সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য এবং নভোমন্ডলের ধারণা পাওয়ার জন্য কৃত্রিম নভোমন্ডল তৈরি করা আছে। নভোথিয়েটার এক্রবেটিক এরোপ্লেন রেসিং কার স্পেস ক্যাট মনোরেল ইয়ার ক্যাপ ফাইবার এবং প্রাচীন পিরামিডের কষ্ট রে ভ্রমণের শিহরণ লাভের জন্য অনুভূমিক ও উল্লম্বভাবে গতি বিশিষ্ট স্পেস রাইট সিমুলেটর রয়েছে।
আরো পড়ুনঃ সার্ভার কি
এখানে প্রদর্শিত মহাকাশ বিষয়ক ফিল্ম জার্নি টু ইনফিনিটি দেখলে মনে হবে বাস্তবে মহাকাশে ভ্রমন করা হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন পার্কে নবযান অথবা কার সিমুলেটর রয়েছে যেগুলোতে বাস্তবের নেই ভার্চুয়াল রিয়েলিটির অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায়। বাংলাদেশের পুলিশের মহিলা পুলিশদেরকে কার ড্রাইভিং কার সিমুলেটর ব্যবহার করা হয়।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তিতে গুরুত্বের সাথে যে বিষয়ে বিবেচনা হয়

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তিতে গুরুত্বের সাথে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয় সেগুলো হলঃ- 
  • শব্দ-ভার্চুয়ালিটি তে শব্দ কোন বিশেষ স্থান থেকে উৎসারিত এবং ডায়নামিক বা পরিবর্তনশীল বলে মনে হয়। এর কারণ এই প্রযুক্তিতে ত্রিমাত্রিক শব্দযুক্ত করা হয় যাতে করে শব্দের কারণে এক ধরনের ত্রিমাত্রিক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
  • দৃষ্টি-চশমা কিনবা হেলমেটের মধ্যে ছোট আকারের পর্দা থাকে এবং বহুমাত্রিক ডিসপ্লে ব্যবহৃত হয়। এতে করে ব্যবহারকারী একেবারে বাস্তবের ন্যায় অথচ পর বাস্তব দৃশ্য অব লোকনের সক্ষম হয়।
  • মস্তিষ্ক-মানুষের মস্তিষ্কের ওপর পরিচালিত গবেষণা কম্পিউটার ও জেনারেটেড ওয়ার্ল্ড কে নতুন অবয়ব দিয়েছে যার সাহায্যে তথ্যকে যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করা যায় এবং কৃত্রিমভাবে তার অনুভূতি মস্তিষ্কের জন্য প্রেরণ করা সম্ভব হয়। এরফলে মস্তিষ্কে বিভিন্ন কৃত্রিম সিমুলেশন প্রদান করে নানা পড়া বাস্তব দৃশ্যের কৃত্রিম অনুমতি বাস্তবের ন্যায় সৃষ্টি করা সম্ভব হয়।
  • স্পর্শ-ভার্চুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের জুতা গ্লাভস বা শরীরের বিশেষায়িত পোশাক একজন ব্যক্তিকে কৃত্রিমভাবে প্রকৃত বাস্তবের ন্যায় অবস্থায় কাছাকাছি নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
  • টেলিপ্রিজেন্স-উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার গ্রাফিক্স ব্যবহারের মাধ্যমে অনেক দূর থেকে কাজ পরিচালনার প্রক্রিয়া কে টেলি প্রেজেন্স বলা হয়। ভার্চুয়ালিটির মাধ্যমে টেলি প্রেজেন্স প্রক্রিয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যেমন এক্ষেত্রে বইমানিগণ আসল বিমান চালানোর পরিবর্তে হুবহু আসলে নাই কৃত্রিম বিমান পরিচালনার ভার্চুয়াল পরিবেশে ট্রেনিং গ্রহণ করতে পারেন বা ড্রাইভিং করতে পারেন। কৃত্রিমভাবে তৈরি বাস্তব দৃশ্য পরিবেশের পাক ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিতে পারেন।

প্রত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির প্রভাব

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি বিভিন্ন পেশাগত ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জনের জন্য পেশাজীবীদের বাস্তবসম্মত ও নিরাপদ প্রশিক্ষণের ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বিশেষ করে চিকিৎসা গাড়ি বা বিমান চালানো সামরিক বা যুদ্ধ প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রগুলোতে বিভিন্ন শারীরিক কিংবা রিসোর্সগত যে ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে সেগুলোর সহজেই ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ নেওয়ার মাধ্যমে সম্পন্ন নিরাপদ করে তোলা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ ব্যান্ড উইথ কি
যেমন বাস্তবে বিমান চালানো বা গাড়ি চালানোর এক্সিডেন্টের সংখ্যা চিকিৎসার পরীক্ষামূলক অপারেশন রোগীর প্রাণ সহায়তা আশঙ্কা কিংবা সাময়িক বা যুদ্ধ প্রশিক্ষণের সরাসরি আহত বা নিহত হওয়ার সংখ্যাগুলো ছেলেটির মাধ্যমে পরাবাস্তব পরিবেশ একেবারেই নেই। কেননা এখানে সম্পূর্ণ কৃত্রিম পরিবেশ বা উপাদান ব্যবহার করে বাস্তবের ন্যায় অবিকল দৃশ্য।

মডেল এবং পরিবেশ তৈরি করা হয় যেগুলো কোন কিছুই বাস্তব নয় আবার বাস্তব না হলেও এগুলো পুরোপুরি বাস্তবের ন্যায় বিধায় প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে বাস্তবতার অভাবে অসম্পূর্ণ বা বিফলতায় পর্যায়ে ভূষিত হয় না। একইভাবে এটি শিক্ষা বিনোদন সহ দৈনন্দন জীবনের নানা প্রয়োজনে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যার মধ্যে প্রধান প্রধান ক্ষেত্র গুলো নিয়ে নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
  • শিশু শিক্ষায় ভার্চুয়াল রিয়েলিটি।
  • চিকিৎসা ক্ষেত্রে এবং ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ।
  • কার ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ।
  • বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ।
  • ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা।
  • সেনাবাহিনীতে যুদ্ধ প্রশিক্ষণ।
  • ব্যবসায় বাণিজ্য।
  • মহাশূন্য অভিযান।
  • গেমস তৈরি।
  • প্রকৌশল ও নগর উন্নয়ন।
  • শিল্প কারখানা।
  • খেলাধুলা ও শরীর চর্চা।
  • বিনোদন ও মিডিয়া ক্ষেত্রে।
  • ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষা।

ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ইতিবাচক প্রভাব বা সুফল

  • ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে বিভিন্ন কার্যক্রমে যৌক্তিকভাবে খরচ কমিয়ে স্বাস্থ্যই উপায়ে কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব।
  • বাস্তবায়নের পূর্বে পরিবেশ পরিস্থিতি ও ফলাফল কে কৃত্রি অনুভব করা যায় বিদায় তা অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত। অযাচিত ও অপ্রয়োজনীয় ঘটনাকে রোধ করতে সক্ষম করে।
  • যেকোনো শিক্ষা ও প্রশিক্ষণকে আকর্ষণীয় হৃদয়গ্রাহী বাস্তবসম্মত এবং সর্বোচ্চভাবে নিরাপদ করতে পারে।
  • ঝুঁকিপূর্ণ যে কোন প্রশিক্ষণের দুর্ঘটনা প্রাণনাশ প্রভৃতি সম্ভাবনা শূন্যে নামিয়ে আনে।
  • সামরিক প্রশিক্ষণ মহড়া কোন উৎপাদিত ধ্বংসাত্মক পূর্ণ সমূহের মান যাচাইয়ের পরীক্ষা সামনে বিষয়টি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ব্যবহার করে সম্পূর্ণ করা হলে তা পরিবেশ দূষণ ও বিপর্যয় রোধ করে।
  • ঝুঁকিপূর্ণ উৎপাদন ব্যবস্থাকে সহজ ও ঝুঁকিহীন করে তোলে।

প্রত্যহিক জীবনে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির নীতিবাচক প্রভাব

ইতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি ভার্চুয়াল রিয়ালিটির নীতিবাচক প্রভাব রয়েছে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির অবশ্যই ভালো দিক থাকলে তার খারাপ দিক থাকবে তাহলে চলুন অবশ্যই জেনে নেওয়া যাক যে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির খারাপ দিকগুলো কি কি অর্থাৎ নয়তিবাচক দিকগুলো কি কি। নিচে এ সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ-
  • চড়াদাম এবং জটিলতা-ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সরঞ্জামাদির দাম অনেক চওড়া হওয়ার কারণে সাধারণের মধ্যে এর প্রসার এবং জটিলতা নিয়ে বিজ্ঞানীরা উদ্বিগ্নতায় আছেন। অনেক সময় এর হ্যান্ডসেটের গতি ব্যবহারকারীর স্বাভাবিক গতির সাথে সামঞ্জস্য রক্ষা করতে পারে না।
  • স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর-বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এর ব্যবহার মানুষের জন্য ক্ষতিকর। এটি মানুষের দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণশক্তি ক্ষতিসাধন করে।
  • কল্পনার জগতে বিচরণ-ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে মানুষ তার কল্পনার রাজ্যে ইচ্ছামত বিচরণ করতে পারে। অনেক সময় ধরে কল্পনার জগতে থাকলে বাস্তবতা থেকে আস্তে আস্তে দূরে সরে যায়। ফলে পৃথিবীতে বিপর্য নেমে আসবে।
  • মনুষ্যত্বহীনতা-ভার্চুয়াল রিয়ালিটি তে মানুষ বাস্তবিকের চেয়ে ভালো পরিবেশও মনের মত সঙ্গী পাবে। ভার্চুয়াল রিয়েলিটির ব্যাপক প্রসারের কারণে মানুষের পারস্পরিক ক্রিয়া হ্রাস পাবে এবং মনুষ্যত্বহীনতা বেড়ে যাবে। ফলে ক্রমে মানব সমাজ বিলুপ্ত হতে থাকবে।

আমাদের শেষ কথা,

ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সম্পর্কিত সকল তথ্য সম্পর্কে আশা করছি আপনারা সকল কিছু ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। সকলে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url