তাহাজ্জদ নামাজের নিয়ম | তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত
তাহাজ্জদ নামাজের নিয়ম | তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত-আল্লাহতালা প্রত্যেক মুসলমানের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলকে সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদত করার জন্য। প্রত্যেক মুসলমানের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে তাই সকল মুসলমানকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব যে তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম এবং তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব এবং ফজিলত সম্পর্কে। তাহাজ্জত নামাজ মূলত আদায় করতে হয় ফরজ নামাজের পর। তাহাজ্জুদ নামাজ হলো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্রঃ তাহাজ্জদ নামাজের নিয়ম | তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত
তাহাজ্জদ নামাজের নিয়ম | তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত
তাহাজ্জুদ নামাজ যদি আপনারা পড়তে চান তাহলে অবশ্যই আপনারা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবেন ফজর নামাজের পর। কেননা এই সময়টা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময় তাই এ সময় আপনারা যদি চান খুব সহজে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবেন। তাহাজ্জুদ নামাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং গুরুত্বপূর্ণ ফজিলতপূর্ণ ইবাদত।
আরো পড়ুনঃ সামাজিক সমস্যা সমাধানের উপায়
আপনাদের মধ্যে যদি বিনা হিসেবে কেউ জান্নাতে যেতে পারে তাহলে সে জান্নাতে যেতে পারবে যে ব্যক্তি প্রতিনিয়ত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে। তাহাজ্জত নামাজ পড়ার মাধ্যমে আপনাদের মধ্যে অনেক মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন। তাহাজ্জুদ নামাজ হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত অর্থাৎ তাহাজ্জুদ নামাজ হলো একটি নফল গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত।
প্রত্যেক মুসলমানকে অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত অর্থাৎ নামাজ আদায় করার পাশাপাশি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হবে। কুরআনের বিভিন্ন সূরায় তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার কথা বলা হয়েছে। তাই আপনারা তাহাজ্জুদ নামাজ অবশ্যই আদায় করতে পারেন এবং আদায় করতে হবে। তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে জেনে নেয়া যাক তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে।
তাহাজ্জুদ নামাজ কি?
আপনারা যদি ফরজ নামাজের পর তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে সর্বপ্রথম জানতে হবে যে তাহাজ্জুদ নামাজ আসলে কি। এবং তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার পূর্বে অবশ্যই আপনাদের জানা উচিত তাহাজ্জুদ নামাজ কি। তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক তাহাজ্জুদ নামাজ কি?
- তাহাজ্জুদ এই শব্দের অর্থ হল ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া বা ঘুম থেকে জাগা।
- যখন আপনারা তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করবেন তখন অবশ্যই তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম কানুন জানার পরে আদায় করতে হবে।
- যদি আপনারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এর পাশাপাশি তাহাজ্জুদ আদায় করতে না পারেন তাহলে আপনাদের কোন গুনাহ হবে না।
- তবে অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার পাশাপাশি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে অবশ্যই আপনাদের অনেক বেশি সওয়াব হবে।
- তাহাজ্জুদ নামাজ হচ্ছে একটি নফল ইবাদত। আপনারা যখন ফরজ নামাজ আদায় করেন এবং তার সাথে যে সকল সুন্নত পড়েন সেই সকল সুন্নাত নামাজের চেয়ে অনেক বেশি উত্তম এবং গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলত তাহাজ্জুদ নামাজের অনেক বেশি।
- তাই অবশ্যই আপনারা চেষ্টা করবেন যাতে ফরজ নামাজের পর তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা।
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম
আপনারা ফরজ নামাজ আদায় করার পর যদি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারেন তাহলে অবশ্যই অনেক সোয়াবের অধিকারী হবে। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তিনি তাহাজ্জুদ নামাজ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে আদায় করতেন কখনো দুই রাকাত দুই রাকাত করে আবার কখনো চার রাকাত এবং কখনো আট রাকাত পড়তেন।
কিন্তু আপনাদের মধ্যে যদি কোন ব্যক্তি তাহাজ্জুদ নামাজ দুই রাকাত আদায় করে তাহলে তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পূর্ণভাবে আদায় করা হয়ে যাবে। সেই কারণে আপনারা যদি চান তাহলে অবশ্যই দুই রাকাত দুই রাকাত করে আদায় করতে পারেন আবার চার রাকাত আট রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারেন এটা আপনার উপর নির্ভর করবে।
আরো পড়ুনঃ রাব্বি নামের অর্থ কি
যে ব্যক্তি এশার নামাজের পর দুই রাকাত কিংবা তার চেয়ে বেশি রাকাত নামাজ আদায় করবেন সে ব্যক্তি তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলতের অধিকারী হবে। এটা বলেছেন হযরত ইবনে আব্বাস (রা.)।
আপনারা যদি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনারা চাইলে যে কোন সূরা দিয়েই তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবেন। তাই আপনারা চাইলে আপনাদের মনের মত সুরা ব্যবহার করতে পারবেন তার জন্য নামাজ আদায় করার জন্য। আর যদি কোন মানুষের সমস্যা হয় তাহলে অবশ্যই এই নামাজ আপনি আলাদাভাবে আদায় করতে পারেন।
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তিনি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন যত সম্ভব লম্বা কি রাত লম্বা রুকু ও সেজদা সহকারে একান্ত নির্দিষ্ট মনে তিনি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতেন। তাই লম্বা কেরাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উত্তম। তাই আপনারা চাইলে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারেন উঁচু এবং নিচু আওয়াজে এভাবে পড়া আপনাদের জন্য জায়েজ রয়েছে।
তাহাজ্জত নামাজ পড়ার নিয়ম
আপনারা অবশ্যই জানার চেষ্টা করবেন যে তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে পড়তে হয় এবং কিভাবে আপনারা খুব সহজে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম জানতে পারবেন। এর জন্য অবশ্যই আপনাদের মধ্যে অনেক মানুষ রয়েছে যারা বিভিন্ন জায়গাতে গিয়ে সার্চ করে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম।
তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য অবশ্যই আপনাদেরকে তাকবীরে তাহরীমা আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত বাধতে হবে। তারপর অবশ্যই আপনাদেরকে ছানা পড়তে হবে। তারপর অবশ্যই সূরা ফাতেহা পড়তে হবে। আপনারা যদি সূরা মিলাতে চান তাহলে অবশ্যই সেক্ষেত্রে কেরাত পড়তে হবে। তারপর আপনারা সাধারণভাবে নামাজ আদায় করার মত রুকু সেজদা দিতে হবে।
আপনারা এইভাবে নিয়ম অনুসরণ করে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারেন এবং তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবেন দুই রাকাত থেকে শুরু করে ৮ রাকাত পর্যন্ত। তাই অবশ্যই আপনারা আদায় করার পর যদি বিতের নামাজ আদায় করতে চান তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে বেতের নামাজ পড়ার দরকার নেই।
আরো পড়ুনঃ আয়ান নামের অর্থ কি
তাই আপনারা যখন তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করবেন তারপরে বেতের নামাজ আদায় করার দরকার হবে না। আপনারা শুধুমাত্র দুই রাকাত থেকে শুরু করে ৮ রাকাত পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারেন। এবং দুই রাকাত থেকে ৮ রাকাত পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা উত্তম। তাই অবশ্যই তাহাজ্জুদ নামাজ এইভাবে আদায় করতে পারেন।
তাহাজ্জুদ নামাজের সময় এবং ওয়াক্ত
তাহাজ্জত নামাজ আদায় করার আগের মুহূর্তে সর্বপ্রথম জানতে হবে যে তাহাজ্জুদ নামাজ কোন সময় পড়তে হয় এবং কোন ওয়াক্তের সময় তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হয়। তাহলে অবশ্যই আপনারা খুব সহজে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে পারবেন এবং তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্দরভাবে আদায় করে নিতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক।
- তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম হচ্ছে শেষ রাতে।
- আপনারা যদি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে চান তাহলে অবশ্যই রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়তে পারেন।
- আপনার যদি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে চান তাহলে অবশ্যই তাহাজ্জুদের মূল সময় রাত দুইটা থেকে শুরু করে ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত।
- আপনার যদি তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে চান এবং সেটা যদি রাতের বেলা না হয় তাহলে অবশ্যই এশার নামাজ পড়ে আপনারা দুই রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে নিতে পারেন।
- আপনাদের মধ্যে অনেক মানুষ রয়েছে যারা রাতের বেলা ঘুম থেকে উঠতে অনেক কষ্ট হয় সে কারণে আপনারা এশার নামাজ পড়ে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করে নিতে পারবেন দুই রাকাত।
- আপনারা যদি চান তাহলে এশার নামাজ পর অবশ্যই বেতের নামাজের আগের মুহূর্তে আপনারা তাহাজ্জুদ আদায় করতে পারেন এটা আপনাদের জন্য জায়েজ রয়েছে।
- এবং তাহাজ্জুদ নামাজ শেষ রাতে আদায় করতে হয় এবং তাহাজ্জুদ নামাজ শেষ রাতে আদায় করলে সর্বোত্তম হবে।
তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত
আপনারা যখন সকলে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করবেন তখন অবশ্যই তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত জেনে নেওয়া প্রয়োজন। তাই অবশ্যই এখন আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ফজিলত সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে।
- আপনারা যদি ফরজ নামাজ আদায় করেন এবং ফরজ নামাজের পর যে সকল সুন্নত নামাজ আদায় করেন সে সকল সুন্নত নামাজের চেয়ে অনেক উত্তম এবং ফজিলতপূর্ণ ইবাদত হচ্ছে তাহাজ্জুদ নামাজ।
- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ তায়ালা অর্থাৎ আমাদের প্রভু প্রত্যেক রাত্রে দুনিয়ার আসমানের নেমে আসেন যখন রাত্রে একটি অংশ বাকি থাকে। অতএব তিনি বলেন তোমরা আমাকে ডাকো তাহলে তোমাদের ডাকে আমি সাড়া দেব, আল্লাহতালা বলেন যে কেউ যদি এই সময়ে আমার কাছে কিছু চাই তাহলে অবশ্যই আমি তাকে সেই জিনিস দেব। এবং কেউ যদি আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তাহলে অবশ্যই ক্ষমা প্রার্থনা করব।
- তাই আপনারা যদি তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের একটিতে আংশিক পড়েন তাহলে অবশ্যই আপনারা অনেক বেশি ফজিলত পাবেন এবং সওয়াব পাবেন।
আরো পড়ুনঃ রাইসা নামের অর্থ কি
- তাই তাহাজ্জুদ নামাজ গভীর রাতে পড়তে হবে তাহলে অবশ্যই আল্লাহ আপনাদের চাওয়া পূরণ করবে এবং আপনাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন।
- আপনারা যদি কেয়ামতের দিন সহজ কোনো হিসাব নিকাশ আশা করেন তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে অবশ্যই তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করতে হবে। তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই হিসাবের খাতা কঠিন থেকে সহজ করে নিতে পারবেন।
- সেই কারণে অবশ্যই তাহাজ্জদ নামাজ আদায় করতে হবে। আশা করছি তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন।
আমাদের শেষ কথা,
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত সম্পর্কে আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা সকল কিছু ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আজকের এই আর্টিকেল যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। সকলে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।
এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url