১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া-বর্তমান সময়ে আপনার বসে না থেকে যদি চান তাহলে অবশ্যই ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসা আইডিয়া নিয়ে অনেক এগিয়ে যেতে পারেন অর্থাৎ আপনার জীবন পাল্টে দিতে পারেন এই ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়ার মাধ্যমে। এই ব্যবসা গুলো করার মাধ্যমে খুব সহজেই অনেক বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
ছবি
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব 10000 টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে। ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে হলে অবশ্যই আপনাদেরকে আজকের এই আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্রঃ ১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া 

১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

১০ হাজার টাকায় ব্যবসার আইডিয়া অবশ্যই এটা আপনারা কাজে লাগাতে পারেন নানান ভাবে। সেটা হতে পারে গ্রামাঞ্চলের ব্যবসা কিংবা শহরাঞ্চলের ব্যবসা আবার এমন কিছু ব্যবসা যেগুলো আপনারা সকলেই করতে পারবেন এবং এগুলো করার মতন দক্ষতা আপনাদের রয়েছে। শুধুমাত্র আপনারা কাজ করার মাধ্যমে অবশ্যই এই ব্যবসা গুলো করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ছবি এডিট করার ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপস
অল্প বাজেট নিয়ে যদি আপনারা ভাবেন তাহলে অবশ্যই সামনে এগোতে পারবেন না সেই কারণে অল্প বাজেট হলেও যদি আপনার ব্যবসা করার সামর্থ্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই এগুলো ব্যবসা থেকে শুরু করতে পারেন। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে যে মানুষ ছোট থেকে বড় হয় কখনো বড় থেকে ছোট হয় না। সেই কারণে অবশ্যই কম পুঁজি নিয়ে চিন্তা করবেন না।

আপনারা সব সময় চেষ্টা করবেন যে আপনাদের কাছে যা আছে তাই নিয়ে কোন কিছু শুরু করেন তাহলে অবশ্যই আপনারা ১০০০০ টাকায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া কাজে লাগিয়ে আপনাদের জীবন অন্যরকম করে তুলতে পারবেন। তাহলে চলুন বেশি দেরি না করে ১০ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে এখন আমরা বিস্তারিত জেনে নেই।

১। ইউটিউব চ্যানেল

বর্তমানে সবচাইতে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং মাধ্যম হল ইউটিউব। আপনারা চাইলে কিছু দক্ষ থাকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউবের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনারা যদি সাধারণভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েট করতে পারেন এবং ভিডিও আপলোড করা জানেন তাহলে অবশ্যই ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার মাধ্যমে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

শুধুমাত্র প্রতিনিয়ত youtube চ্যানেল নিয়ে কাজ করতে হবে এবং ইউটিউব চ্যানেল এর সাবস্ক্রাইবার যদি বাড়াতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেখানে আপনারা মনিটাইজেশন অন করার মাধ্যমে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেটা। আপনার ভিডিওর ভিডিও এর ওপর নিশ্চিত হবে যে আপনি মাসে কত টাকা কামাতে পারবেন আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

২। অনলাইন কোচিং সেন্টার

আপনারা যদি লেখাপড়া করে বসে থাকেন এবং কোন কাজ না করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনারা জানেন অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই কোচিং করার মাধ্যমে বা কোচিং সেন্টার তৈরি করার মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কেননা বর্তমান সময়ে কোচিং সেন্টারের প্রচলিত রয়েছে অনেক বেশি সেই কারণে আপনি অনেক স্টুডেন্ট পেয়ে যাবেন।

যদি শুধুমাত্র আপনি একটি ভাল মানের কোচিং সেন্টার তৈরি করতে পারেন এবং সেই কোচিং সেন্টারে লেখাপড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ করাতে পারেন এবং স্টুডেন্ট দের বিশ্বাস জোগাতে পারেন যে এখানে পড়লে অনেক এগিয়ে যেতে পারবে তাহলে অবশ্যই আপনারা কোচিং সেন্টার তৈরি করতে পারেন অনলাইনের মাধ্যমে সেখান থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।১০ হাজার টাকায় একটি ভালো মানের ব্যবসা তৈরি করতে পারবেন।

৩। ফেসবুক পেজ তৈরি করে ইনকাম

আপনার হয়তোবা জানেন যে বর্তমান সময়ে ফেসবুক কতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করে রয়েছে এবং ফেসবুকের জনপ্রিয়তা যতদিন যাচ্ছে ততই আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই আপনারা চাইলে ফেসবুক পেজ তৈরি করার মাধ্যমে ফেসবুক পেজ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন মাসে। এটা youtube এর মতোই কাজ করে থাকে।

শুধুমাত্র youtube এর যে ফরমেট গুলো রয়েছে সেগুলো আলাদা এবং ফেসবুকের একটু আলাদা সে কারণে অবশ্যই আপনারা ফেসবুকের মধ্যে পেজ তৈরি করার মাধ্যমে সেখানে পর্যাপ্ত পরিমান ভিডিও আপলোড করে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তার জন্য অবশ্যই ফেসবুকের গাইডলাইন অনুযায়ী আপনাকে কাজ করতে হবে। 

৪। হোটেলের ব্যবসা

আপনারা যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই চাইলে আপনারা হোটেলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন কেননা প্রত্যেক মানুষ কোন না কোন কাজের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে সেই কারণে বাড়িতে বা বিভিন্ন জায়গায় খাবার খেতে পারে না তাই যদি আপনি ভালো মানের একটি হোটেল তৈরি করতে পারেন সে ক্ষেত্রে সেখানে আপনার অনেক টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে সেই কারণে হোটেল তৈরি করতে পারেন। ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করলে অবশ্যই লাভবান হবে।

৫। চায়ের দোকান

আপনারা যদি অল্প পুঁজিতে অর্থাৎ অল্প খরচে ভালো ব্যবসা করতে চান তাহলে অবশ্যই চায়ের দোকান আপনাদের জন্য বেস্ট কেননা চায়ের দোকানের জন্য অল্প সকল কিছুই অল্প। যেমন মনে করুন আপনার ঘর ভাড়া দিতে হবে অল্প এবং আপনি অল্প খরচে বেশি টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে এই চায়ের দোকানে। সেই কারণে যদি আপনারা অল্প খরচের মধ্যে ব্যবসা তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই চায়ের দোকান আপনাদের জন্য সবচাইতে বেশি ভালো একটি উপায়। ১০ হাজার টাকায় অল্প খরচে বেশি ইনকাম।

৬। মোবাইল রিচার্জ

বর্তমান সময় সবকিছু যেহেতু অনলাইনের হয়ে গেছে তো আপনি মনে করতে পারেন যদি মোবাইল রিচার্জ এর দোকান দেন সে ক্ষেত্রে কেউ দোকানে এসে রিসার্চ করবে না এমন কিছু ভাবলে অবশ্যই আপনি এটা ভুল ভাবছেন। কেননা অনলাইনের মাধ্যমে মানুষ যতই উন্নতি করুক কিন্তু ফিজিক্যালি সকলেই ফ্লেক্সিলোডের দোকানে এসে ফ্লেক্সিলোড দিতে বেশি স্বাচ্ছন্ন বোধ করে। এই কারণে মোবাইল রিচার্জের দোকান দিতে পারেন এবং কখনোই পিছনে হাঁটবেন না কোন কাজে লাগতে গিয়ে। ১০ হাজার টাকায় চাইলে আপনি মোবাইল রিচার্জের দোকান তৈরি করতে পারেন।

৭। টিফিন ডেলিভারি

অন্যান্য সকল কাজের মতই এটি একটি কাজ সেটি হল টিফিন ডেলিভারি আপনি মনে করুন টিফিন ডেলিভারির কাজ শুরু করেছেন অন্যান্য পরিবার মানুষজন যখন কাজের ব্যস্ততায় বা সময়ের স্বল্পতায় সকলেই আগেভাগে কাজে চলে যায় কিন্তু টিফিন নিয়ে যেতে পারেনা অর্থাৎ টিফিন নিয়ে যেতে সম্ভব হয় না তাদের। তাই আপনি যদি টিফিন ডেলিভারির কাজ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এখান থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন অর্থাৎ ১০ হাজার টাকায় খুব সহজেই ব্যবসা তৈরি করতে পারবেন।

৮। মিনারেল ওয়াটার

আপনারা যদি ১০ হাজার টাকায় একটি লাভজনক ব্যবসা খুজে থাকেন তাহলে অবশ্যই মিনারেল ওয়াটার ডেলিভারির ব্যবসা আপনাদের জন্য অনেক বেশি কাজে আসবে। তবে একটি কথা মাথায় রাখতে হবে মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা শুধুমাত্র সবচাইতে বেশি শহরাঞ্চলে দেখা যায় সেই কারণে আপনারা শহর অঞ্চলে মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

শহরের মানুষজন প্রতিনিয়ত তাদের পানির প্রয়োজন হয় এবং তারা বিভিন্ন দোকানের উপর নির্ভর করে থাকে যদি তারা পানি দিয়ে যায় তাহলে তারা পায় নয়তো অন্য কোন উপায়ে পানি অর্থাৎ মিনারেল ওয়াটার খুঁজে নিতে হয়। সে কারণে ১০ হাজার টাকায় চাইলে আপনারা মিনারেল ওয়াটার এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

৯। অনলাইনে বাংলা বই বিক্রি

আপনারা যদি অনলাইনে বাংলা বই বিক্রি করতে চান তাহলে অবশ্যই ১০ হাজার টাকায় এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই ব্যবসা যখন আপনি রাগ করতে লাগবে তখন অবশ্যই একটি জিনিস মাথায় রাখবেন নতুন নতুন সকল ধরনের বাংলা বই যাতে আপনার কাছে থাকে এ বিষয়ে মাথায় রেখে ব্যবসা শুরু করতে হবে। যখন আপনি নতুন নতুন বই রাখবেন তখন অবশ্যই সকলে আপনার বাংলা বইয়ের প্রতি বেশি আকর্ষিত হবে এবং আপনার লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে।

১০। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট

সোশ্যাল মিডিয়া, ম্যানেজমেন্ট করার মাধ্যমে অবশ্যই আপনারা চাইলে এখান থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারেন। কেননা বর্তমান সময়ে যে সকল বড় বড় কোম্পানি রয়েছে তারা সব সময় ছোট কোম্পানির মাধ্যমে সকল জিনিস সেল করে থাকে এবং মানুষ এর কাছে সকল ধরনের তথ্য পৌঁছে দিতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের সাহায্যে। সে কারণে আপনি বিনা খরচে বা কম খরচে খুব সহজে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। এতে করে আপনার ১০ হাজার টাকায় এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

১১। গ্রাফিক্স ডিজাইন

আপনারা যদি অল্প পুঁজিতে অর্থাৎ অল্প টাকায় ১০ হাজার টাকায় ভালো ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনারা গ্রাফিক্স ডিজাইন করে এখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন। কেননা গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে হলে আপনাকে কোথাও যেতে হবে না একদম বাসা থেকে সুন্দরভাবে সকল ধরনের কাজ কমপ্লিট করতে পারবেন। এটা আপনি চাইলে বিভিন্ন অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে পারেন কিংবা বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারেন।

১২। ওয়েডিং প্লানার

আপনারা যদি চান তাহলে ওয়েডিং প্লানার এই কাজ করতে পারেন এই কাজের মধ্যে থেকে আপনারা অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যখন একটি পরিবারের বিয়ে হয় তখন অবশ্যই বিভিন্ন বিয়ের অনুষ্ঠানের দায়-দায়িত্ব পরিবারের মানুষ অনেক ব্যস্ততার কারণে এ সকল কিছু করতে পারে না ঠিক মতন তাই এগুলোর দায়িত্ব ডেকোরেশন থেকে শুরু করে খাওয়া-দাওয়া এবং বিয়ের ফটোগ্রাফি পর্যন্ত সকল কিছু আপনারা করতে পারেন। তাহলে এখান থেকে আপনারা অনেক বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

১৩। কনটেন্ট রাইটিং

আপনারা যদি ইংরেজিতে অনেক বেশি দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনারা ইংরেজিতে কন্টেন রাইটিং করার মাধ্যমে খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে যদি আপনি ইংরেজিতে কন্টেন রাইটিং সার্ভিসটা দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে টাকা দিয়ে রেখে দেবে কন্টেন্ট রাইটিং করানোর জন্য। আবার আপনি চাইলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস কন্টেন রাইটিং নিয়ে কাজ করতে পারেন। ১০ হাজার টাকায় কনটেন্ট রাইটিং এর খরচ আরো কম হতে পারে।

১৪। বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ

আপনি যদি ১০ হাজার টাকায় অল্প বাজেটে ভালো কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি চাইলে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করার কাজ করতে পারেন। আপনার যদি দক্ষতা থেকে থাকে যে আপনি একটি ভাষা থেকে আরেকটি ভাষায় অনুবাদ করতে পারেন বা বাংলা থেকে ইংরেজিতে বা বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এখান থেকে আপনারা টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ও যারা অনুবাদ করে তারা কেউ বেকার বসে নেই তাই অবশ্যই আপনি অনুবাদ করার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

১৫। চিত্রকলা স্কুল

আপনি যদি চান তাহলে অবশ্যই চিত্রকলা স্কুল থেকে অবশ্যই অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন এটি একটি ব্যবসায়ী রূপান্তরিত করে। মনে করুন আপনি অনেক কিছু আঁকতে জানেন বা আঁকার মত যোগ্যতা রাখেন এবং এই যোগ্যতা থেকে যদি আপনি সকলকে শেখাতে পারেন তাহলে অবশ্যই সেখান থেকে আপনার টাকা ইনকাম হবে অনেক বেশি। আবার চিত্রকলা থেকে নাচ গান আঁকা এ সকল কিছু করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। তাই ১০ হাজার টাকায় চাইলে আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

১৬। বিদেশী ভাষা শিক্ষার ব্যবসা

আপনি যদি যেকোন একটি ভাষার উপর দক্ষ হয়ে থাকেন বাংলা ভাষা ব্যতীত তাহলে চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে বা ফিজিক্যালি বিদেশি ভাষা সকলকে শেখাতে পারেন এবং এটা হতে পারে আপনার জন্য অনেক বেশি লাভজনক একটি ব্যবসা। ছোট বড় সকলকে এবং বয়স্ক মানুষদের যদি আপনারা এই ভাষা শিখাতে পারেন তাহলে অবশ্যই তারা আপনার কাছে শিখবে ভালোভাবে এবং সেখান থেকে আপনি অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনারা চাইলে বিদেশী ভাষা শিক্ষার ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

১৭। বিউটিশিয়ান ব্যবসা

আপনারা যদি ১০ হাজার টাকায় একটি ভালো মানের ব্যবসা খুঁজে থাকেন তাহলে অবশ্যই বিউটিশিয়ান ব্যবসা আপনাদের জন্য অনেক বেশি ভালো হবে। আর এই কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে দক্ষ হতে হবে এবং দক্ষতার সাথে যদি আপনি এই কাজ করতে পারেন বিউটিশিয়ান এর কাজ তাহলে অবশ্যই আপনি এখান থেকে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সকল জিনিস আপনাকে রাখতে হবে হাতের কাছে অর্থাৎ বিউটিশিয়ানের প্রয়োজনে জিনিসগুলো সেটা অল্প খরচের মধ্যেই হয়ে যাবে।

১৮। দর্জির দোকান

 যদি আপনারা ১০ হাজার টাকায় ভালো কোন ব্যবসা খুঁজে থাকেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে আপনারা চাইলে দর্জির দোকান এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কিন্তু এই কাজ করার জন্য অবশ্যই আপনার অনেক বেশি দক্ষতার প্রয়োজন অর্থাৎ দক্ষতা ছাড়া এই কাজ আপনি সম্পূর্ণভাবে করতে পারবেন না। তাই যদি আপনার দক্ষতা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি দর্জির দোকান দেয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই এখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনি বাড়িতে বসে থেকেই এই সকল কাজ নিতে পারবেন এবং ডেলিভারি করতে পারবেন।

১৯। মেকআপ করানোর বিজনেস

মেকআপ করানোর বিজনেস বলতে মেকআপ আর্টিস্ট বোঝাই। আপনারা যদি সকলকে সাজাতে পছন্দ করেন তাহলে অবশ্যই মেকআপ আর্টিস্ট এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে আপনার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে এই কাজ সম্পন্ন করতে পারলে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেক সময় আছে মেকআপ আর্টিস্টের খুবই প্রয়োজন হয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বা বিয়ের অনুষ্ঠানে এমন আর্টিস্ট প্রয়োজন পড়ে যারা সাজাতে অনেক বেশি পারে সে কারণে আপনি চাইলে মেকাপ আর্টিস্ট এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

২০। কাস্টমাইজ নতুন গহনার ব্যবসা

 আপনারা যদি চান তাহলে অবশ্যই ১০ হাজার টাকায় কাস্টমাইজ নতুন গহনার ব্যবসা শুরু করতে পারেন অর্থাৎ কাস্টমাইজ গহনা তৈরি করে খুব সহজেই সকলের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। যদি আপনার কাছে নতুন নতুন ডিজাইনের গহনা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি এই ব্যবসায় অনেক লাভবান হতে পারবেন। তাই অবশ্যই যখন আপনি এই ব্যবসা শুরু করবেন তখন অবশ্যই প্রয়োজনের সামগ্রী আগে থেকে হাতের কাছে রাখার চেষ্টা করবেন তাহলে কাজ করতে অনেক বেশি সুবিধা হবে।

২১। কসমেটিকস এর দোকান

বর্তমান সময়ে কসমেটিকের চাহিদা অনেক বেশি আপনারা যদি কসমেটিকের দোকান পর্যাপ্ত পরিমাণ জিনিস নিয়ে শুরু করতে পারেন তাহলে অবশ্যই কসমেটিকের দোকান থেকে আপনারা অনেক বেশি লাভবান হতে পারবেন। কেননা বর্তমান সময়ে সকলেই কসমেটিক ব্যবহার করতে পছন্দ করে তার মধ্যে মেয়েরা আরও বেশি। যদি এই ব্যবসা আপনি শুরু করতে পারেন তাহলে অবশ্যই কাস্টমার আপনার কাছে আসবেই। তাই আপনি কসমেটিক্স এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

২২। ফলের রসের দোকান

আপনারা যদি অল্প টাকায় অর্থাৎ ১০ হাজার টাকায় ভালো কোন ব্যবসা তৈরি করতে চান বা করতে চান তাহলে অবশ্যই ফলের রসের দোকান করতে পারেন। এখানে আপনারা চাইলে খুব সহজেই অনেক কাস্টমার পেয়ে যাবেন এবং তার জন্য আপনাদের প্রয়োজন ভালো পরিষ্কার জায়গা এবং ফল এর রস তৈরি করার জন্য কিছু সামগ্রী। যাতে কাস্টমার এসে আপনার কাছে ফলো রস খেতে চাইলে ভালো ধরনের ফলের রস দিতে পারেন তাহলে এখানে আপনি অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন ফলের রসের ব্যবসা করার মাধ্যমে।

২৩। অনলাইন বেকারি

আপনারা যদি অল্প খরচে বেশি টাকা উপার্জন করতে চান তাহলে অবশ্যই অনলাইনে বেকারি তৈরি করতে পারেন। কেননা আপনি যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ জিনিস বেকারির সাহায্যে সকলের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন তাহলে অবশ্যই অনলাইন বেকারি অনেক বেশি কার্যকর হবে আপনার জন্য। মনে করুন বিভিন্ন কেক কুকিজ এবং আরো অন্যান্য জিনিস রয়েছে যেগুলো আপনারা খুব সহজেই তৈরি করতে পারবেন এবং সকলের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন তাই অবশ্যই অনলাইন বেকারি তৈরি করার মাধ্যমে লাভবান ব্যবসা চালু করতে পারেন।

২৪। খাবারের হোম ডেলিভারি

আপনারা যদি কম খরচে অর্থাৎ ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা করতে চান তাহলে অবশ্যই খাবারের হোম ডেলিভারি করতে পারেন। কেননা এই শহরে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা কাজের চাপে খাবার রান্না করার সময় পায় না সে কারণে আপনারা চাইলে খাবারের হোম ডেলিভারি করার এই ব্যবসা চালু করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এখান থেকে আপনারা প্রতি মাসে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বা আপনারা চাইলে খাবারের হোম ডেলিভারি দেয়ার পরেই টাকা নিতে পারবেন। তাই অল্প খরচে ভালো ব্যবসা করার জন্য খাবারের হোম ডেলিভারি করতে পারেন।

২৫। মুদিখানার ব্যবসা

আপনার যদি চান তাহলে অবশ্যই মুদিখানার ব্যবসা শুরু করতে পারেন কেননা মুদিখানার ব্যবসা শুরু করার মাধ্যমে আপনারা সকলের চাহিদা মেটাতে পারবেন এবং সেখান থেকে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। যেমন মানুষের প্রতিদিন যেগুলো প্রয়োজন হয় সেগুলোর মধ্যে তেল চিনি লবণ চাল ডাল ইত্যাদি এই সকল কিছু যদি আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ রাখতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি মুদিখানার ব্যবসায় লাভবান হতে পারবেন। তাই চাইলে মুদিখানার ব্যবসা শুরু করতে পারেন এতে অনেক লাভবান হবেন।

26। নার্সারি

আপনারা যদি একটি নার্সারি করতে পারেন তাহলে অবশ্যই নার্সারি করলে অনেক বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন এখান থেকে কেননা বিভিন্ন ফুলের চাষাবাদ করবেন আপনার সেই নার্সারির মধ্যে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ নার্সারি এর সকল গাছ বড় হয়ে যাওয়ার পর সেগুলো সেল করে দেবেন বা বিভিন্ন ফুল বিক্রি করবেন তাহলে দেখবেন সেখান থেকে অনেক বেশি টাকা উপার্জন হয়েছে। তাই আপনারা যদি চান তাহলে অবশ্যই নার্সারি করতে পারেন। এটা অনেক লাভজনক ব্যবসা। 

আরো কিছু লাভবান ব্যবসার আইডিয়া

  • লন্ড্রি এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
  • মাছের ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
  • বিভিন্ন ই-কমার্স ব্যবসা চালু করতে পারেন।
  • মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান।
  • নতুন মোবাইলের দোকান।
  • কম্পিউটার সার্ভিসিং এর দোকান।
  • ট্রাভেল এজেন্সির বিজনেস।
  • কার্ড ছাপানোর বিজনেস।
  • পেপার ব্যাগ ঠোঙ্গা তৈরির বিজনেস।
  • ফাস্টফুডের দোকান।
  • ট্যুর গাইড।
  • অনলাইনে হস্তশিল্প সামগ্রী ব্যবসা। 
  • ফুড ভ্যান।

আমাদের শেষ কথা,

১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা ভালোভাবে সকল কিছু বুঝতে পেরেছেন। তাহলে আপনারা যদি ব্যবসায়ী লাভবান হতে চান তাহলে অবশ্যই উপরের এই ব্যবসা গুলো করতে পারেন কম খরচে। তাহলে আশা করছি আজকের এই আর্টিকেল আপনাদের ভালো লেগেছে। যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আপনি আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। সকলে ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ সবাইকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এম আর টেক ইনফো ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url